বিশ্ব ডেস্ক: ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চার বছরের মেয়াদে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার এই সময়কালে যুক্তরাষ্ট্র বড় কোনো যুদ্ধে জড়ায়নি। এবারও, ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে, ট্রাম্প একই প্রতিশ্রুতি দিলেন।
ফ্লোরিডার পাম বিচে বিজয় ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “আমি কোনো যুদ্ধ শুরু করব না; বরং যুদ্ধ থামাব।”
এর আগেও ট্রাম্প বলেছিলেন যে প্রেসিডেন্ট হলে তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করবেন।
বিজয় ভাষণে তিনি আরও বলেন, “আমাদের কোনো যুদ্ধ ছিল না, চার বছরে আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াইনি। আমরা শুধু আইএসআইএসকে পরাজিত করেছি।”
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা চালান। তিনিই প্রথম ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক বৈঠক করেন এবং করমর্দন করেন।
এদিকে, মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ইউক্রেনেও উদ্বেগ ছিল। ফলাফল জানানো শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউক্রেনীয়রা সেদিকে নজর রাখছিলেন। ট্রাম্পের বিজয়ে ইউক্রেনের অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, তিনি হয়তো রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমিয়ে দেবেন।
নির্বাচনের আগে, যুক্তরাষ্ট্রে ইউক্রেনের সাবেক রাষ্ট্রদূত ওলেগ শামশুর এএফপিকে বলেছিলেন, ট্রাম্প বিজয়ী হলে ইউক্রেনের জন্য তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, এবং পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠবে।
ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে নানা ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের কারণেই ইউক্রেন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ও সামরিক সহায়তা পেয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপের সহায়তা কমছে, আর মার্কিন সহায়তাও নির্বাচনের আগে কিছুটা শিথিল ছিল।
পরাজয় মেনে নিয়ে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানালেন কমলা
বিবিসি জানিয়েছে, নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়ে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমলা। ফোনকলের মাধ্যমে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। এছাড়া ট্রাম্পকে সব আমেরিকানের প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠার-ও আহ্বান জানিয়েছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড তথ্য অনুযায়ী, ৫৩৮ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৯২ ভোট পেয়েছেন ট্রাম্প, কমলার ভোটের সংখ্যা ২২৪। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের জন্য ২৭০ ভোটই যথেষ্ট।
নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প এবং কমলা কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি। ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করে নানাভাবে একে অপরকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পকে সরাসরি ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়েছিলেন কমলা হ্যারিস। অন্যদিকে ট্রাম্প কমলার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
বিএনএ,এসজিএন