বিএনএ ডেস্ক : এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে পানিপথে জাহাজযোগে ২-৩ হাজার হজযাত্রী পাঠানোর চিন্তা করছে সরকার।সেই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে সৌদি সরকার।
রোববার দুপুরে সৌদি আরবের জেদ্দায় হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং সৌদি হজ ও উমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক ফাউযান আল রাবিয়ার বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সৌদি মন্ত্রী এ সম্মতির কথা জানান।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে পানিপথে জাহাজযোগে ২-৩ হাজার হজযাত্রী পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে। জাহাজযোগে হজযাত্রী প্রেরণ ছাড়াও সৌদি হজ ও উমরাহবিষয়ক মন্ত্রী হজ যাত্রীদের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে আপগ্রেড করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তিনি হজ এজেন্সির মালিক অথবা তাদের প্রতিনিধির অনুকূলে মুনাজ্জেম (মাল্টিপল) ভিসা ইস্যুর ব্যাপারেও ধর্ম উপদেষ্টাক আশ্বস্ত করেছেন। এছাড়া, রুট টু মক্কা কর্মসূচির আওতায় ২০২৩ ও ২০২৪ সালে হজযাত্রীদের বেশকিছু লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সৌদি মন্ত্রী।
বৈঠকে সৌদি হজ ও উমরাহমন্ত্রীকে সহায়তা করেন সে দেশের হজ মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার ড. হাসান আল মানাখেরা এবং হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বদর আল সেলামী।
এ সময় বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচির মু. আ. হামিদ জমাদ্দার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম, রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ব্রিগেডিয়ার রাকিবুল্লাহ, জেদ্দায় বাংলাদেশ কনসুলেটের কনসাল জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ মঈনুল কবির, জেদ্দা হজ মিশনের কাউন্সেলর জহিরুল ইসলাম, হজ কনসাল মুহাম্মদ আসলাম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএ/ ওজি/এইচমুন্নী