27 C
আবহাওয়া
৫:০০ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » টানা বৃষ্টির প্রভাব বাজারে

টানা বৃষ্টির প্রভাব বাজারে

বাজার

বিএনএ ডেস্ক: মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ার আগে ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। চলছে বৃষ্টির তোড়। বৈরী আবহাওয়ায় সারাদেশেই নেমে এসেছে বিপর্যয়। বাড়িতে ঢুকেছে পানি, ডুবে গেছে সড়ক-রেললাইন। ভেসে গেছে মাছের ঘের। কৃষিরও বড় ক্ষতি। এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে মাছ-মুরগি-সবজিসহ প্রায় সবকিছুর দাম বেড়েছে।

বিক্রেতারা বলছেন, টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বাজারে সবজিসহ অন্যান্য জিনিসির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দামে প্রভাব পড়েছে। সরবরাহ বাড়লে সব কিছুর দাম কমতে পারে বলে আশা করছেন তারা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ৪২-৪৫ টাকা বিক্রি হওয়া আলু এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। খোলা বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ৮০ টাকায় নেমেছিল। পাশাপাশি আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরায় প্রতি কেজি আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা আর দেশি পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। সে হিসাবে বাজারে এক কেজি আলুতে অন্তত ১২ টাকা আর প্রতি কেজি পেঁয়াজে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে। ফার্মের ডিমের হালি ৪৮ টাকা বেঁধে দিলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। বড় আকারের গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়, যা আগে ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। করলা, বরবটির দাম ছুঁয়েছে ১০০ টাকা। দরদাম করে নিলেও ৮০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন শিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। ছোট ফুলকপি ৬০ টাকার কমে মিলছে না। এ ছাড়া ঝিঙে, চিচিঙ্গা ও ধুন্দুলের কেজিও ৬০ থেকে ৮০ টাকা। পটল, ঢেঁড়সের কেজিও ৬০ টাকা। তবে সস্তার সবজি হিসেবে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে।

অন্যদিকে গত কয়েকদিন ধরেই কাঁচা মরিচের দাম বড় ব্যবধানে ওঠানামা করছে। শুক্রবার বিভিন্ন বাজারে কোথাও ২৪০ টাকা আবার কোথাও ২৮০ টাকা কেজি দরে এ পণ্যটি বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাছের বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতারা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। নদী ও হাওরের মাছ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে আগে থেকেই। চাষের মাছের দামও এখন বেশ চড়া। এক্ষেত্রেও সরবরাহ সংকট এবং বাজারে ইলিশ কম থাকার কথা বলছেন বিক্রেতারা।

আগে এক কেজি ছোট ও মাঝারি আকারের পাঙাশের দাম ছিল ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, একই মাছ এখন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। দাম বেড়ে তেলাপিয়ার কেজি ২৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও ৩০০ টাকায়ও বিক্রি হতে দেখা গেছে। চাষের কই, পাবদা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৫০ টাকার বেশি দরে। ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের চাষের রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি। এক কেজির বেশি ওজনের হলে ৪০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। আর বড় মাছের কেজি ছুঁয়েছে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।

এ ছাড়া বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, ২ দিন আগেও কেজি ছিল ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়, আগে কেজি ছিল ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৪০ টাকা। বাজারে গরুর মাংসও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা। বাজারে খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-১০৫০ টাকায়।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ