বিএনএ, মিরসরাই: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই স্কুলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে রক্তারক্তির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের খেলোয়াড়সহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মিরসরাই উপজেলা সদর ষ্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন খৈয়াছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ও ফুটবল খেলোয়াড় সাখাওয়াত হোসেন, রাজু, মাহমুদুল্লাহ ও শিক্ষক আজিম উদ্দিন। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, ৪৯তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ভিত্তিক দলের সাথে ফুটবল টুর্নামেন্টে নকআউট পর্বের খেলা চলছে। বুধবার (৭ সেপ্টেম্ব) মিরসরাই স্টেডিয়ামে দিনের ৪র্থ খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নিজামপুর মুসলিম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ফুটবল একাদশ বনাম খৈয়াছড়া উচ্চ বিদ্যালয় ফুটবল একাদশ। খেলায় নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর ট্রাইবেকারে ৩-০ গোলে খৈয়াছড়া উচ্চ বিদ্যালয় জয় লাভ করে। খেলা শেষে ফিরে যাওয়ার সময় উভয় দলের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। মারামারির ঘটনা ষ্টেডিয়ামের গন্ডি পেরিয়ে মহাসড়ক পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেইনে প্রায় ১৫ মিনিট গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিলো।
খৈয়াছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রবাল ভৌমিক বলেন, খেলা শেষে আমাদের খেলোয়াড়রা স্কুলে যাওয়ার জন্য সেইফ লাইন পরিবহনের একটি গাড়িতে উঠে। তখন সাখাওয়াত নামে এক খেলোয়াড় নিচে ছিলো। হঠাৎ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের সমর্থকরা তাকে টেনে হিঁচড়ে কালি মন্দিরের ভেতর নিয়ে মারধর শুরু করে। এরপর গাড়ি থেকে নেমে তাকে বাঁচাতে গেলে আরো কয়েকজনকে মারধর করে। তখন উভয় দলের সমর্থকরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। আমাদের একজন শিক্ষকসহ ৫-৬জন আহত হয়েছে।
নিজামপুর মুসলিম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মীর হোসেন বলেন, আমাদের ছাত্ররা খেলা শেষে মিরসরাই থেকে আসার পথে খৈয়াছড়া স্কুলের সামনে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে ওদের লোকজন। একজন ছাত্রের মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছে। তার স্কুলের ৪জন আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে মিরসরাই ভেনু প্রধান মিরসরাই লতিফীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা একরামুল হকের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সামান্য ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। বড় ধরনের কিছু হওয়ার আগে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
বিএনএ/আশরাফ, এমএফ