বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : আফগানিস্তানে যুদ্ধ সমাপ্তির ঘোষণা দিয়ে দেশটিতে অচিরেই স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ। সোমবার রাজধানী কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তার সংবাদ সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টা আগে সোমবার সকালে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় পাঞ্জশির উপত্যকার ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার দাবি করে তালেবান।
তবে যোগাযোগ সমস্যার কারণে পাঞ্জশিরের প্রতিরোধ ফ্রন্টের পক্ষ থেকে তালেবানের এ দাবি সম্পর্কে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মুজাহিদ বলেন, তারা সংলাপের মাধ্যমে পাঞ্জশির সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছিলেন কিন্তু সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
‘খুব শিগগিরই’ তালেবানের সরকার গঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সম্ভাব্য সরকারে প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং পরিবর্তন-পরিবর্ধনের সুবিধার্থে প্রাথমিকভাবে একটি কেয়ারটেকার সরকার গঠিত হতে পারে।
আফগানিস্তানের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ভবিষ্যত সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তালেবান মুখপাত্র বলেন, গত ২০ বছর ধরে যারা সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদেরকে আবার নিরাপত্তা বাহিনীগুলোতে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হবে। তারা তালেবান যোদ্ধাদের পাশে থেকে নিরাপত্তা রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করবেন।
বহির্বিশ্বের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক কেমন হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, তালেবান গোটা বিশ্বের সঙ্গে বিশেষ করে চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চায়। চীন একটি বড় অর্থনৈতিক শক্তি এবং এটি আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন কাজে অংশ নিতে পারবে।
পাকিস্তানের সেনা গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র পরিচালক লে. জেনারেল ফাইজ হামিদের সাম্প্রতিক কাবুল সফর সম্পর্কিত প্রশ্নেরও জবাব দেন তালেবান মুখপাত্র। তিনি বলেন, পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ ধরনের একটি প্রতিনিধিদলের সফরের জন্য কয়েকদিন ধরে পীড়াপীড়ি করা হচ্ছিল। কিন্তু তালেবান অতি সম্প্রতি তাদের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে।
জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, পাকিস্তানিরা আফগানিস্তানের কারাগারে আটক কোনো কোনো বন্দির সম্ভাব্য মুক্তির ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। তাদের শঙ্কা মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিরা পাকিস্তানে অনুপ্রবেশ করে দেশটিতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। মুজাহিদ বলেন, তালেবান পাকিস্তানকে এই বলে আশ্বাস দিয়েছে যে, আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করে অন্য কোনো দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সুযোগ তারা দেবে না।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।