বিএনএ, ঢাকা : ঢাকার সাভারে চিত্রনায়িকা পরীমনির দায়ের করা ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে-আসামিদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন, মারধর ও হুমকি দেয়ার প্রমাণ মিলেছে।
সোমবার (৬ সেপ্টম্বর) সন্ধ্যায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আসামি শহিদুল ইসলাম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুন রাতে সাভারের বিরুলিয়া এলাকায় বোট ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। এর ৫দিন পর ১৪ জুন নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা দায়ের করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। দীর্ঘ ২ মাস ২৩ দিন পর সোমবার বিকালে এই মামলার চার্জশিট দাখিল করেন সাভার মডেল থানা পুলিশ।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, মামলায় এজাহারনামীয় প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ (৬০) ও মামলায় তদন্তে আসা ৩ নম্বর আসামী শাহ শহিদুল আলম (৫০) অভিযোগকারী পরীমনিকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে অশ্লীল আচরণ করে। এর পর তাকে মারপিট করে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে শ্লীলতাহানি করা হয়। এছাড়া মামলার দ্বিতীয় আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমি (৩৩) পরীমনিকে কৌশলে বোট ক্লাবে নিয়ে যায় নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও শাহ শহিদুল আলম। এর পর তাকে অশ্লীল কথা বলে শরীরে স্পর্শ করে। এতে মামলার বাদী পরীমনি ক্ষিপ্ত হলে তাকে মারপিট করে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয়ার দায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপরাধ প্রতীয়মান হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।
মামলা হলে গত ১৩ জুন নাসির ও তুহিন ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন পরীমনি। সেদিনই নাসির, তুহিনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এই মামলায় আদালতের অনুমতি নিয়ে নাসির ও অমিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।