রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেছেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান একাডেমিক অচলাবস্থার দায় কোনোভাবেই শিক্ষকরা নেবে না। এই দায় আমরা এককভাবে সরকারকেও দিতে চাই না। সরকারের যে মন্ত্রণালয় ও বিভাগ পেনশন সংক্রান্ত এ বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলায়তনের জন্য তারাই দায়ী।
রোববার (৭ জুলাই) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে শিক্ষকদের পূর্বনির্ধারিত অবস্থান কর্মসূচিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেছেন রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি।
এ সময় রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গরীব মানুষের পড়াশুনার আশ্রয়স্থল যে জায়গা—সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, সেটা আর থাকবেনা। কারণ সমাজের উচ্চশ্রেণীর লোকদের ছেলে-মেয়েরা বাইরে পড়াশোনা করে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় রয়েছে; আমি বলতে চাই শিক্ষকদের সাইড লাইনে রেখে দেশকে কখনো এগিয়ে নেওয়া যাবে না।
এদিকে টানা অষ্টম দিনের মতো বন্ধ রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরণের একাডেমিক কার্যক্রম। এতে সেশনজটের আশঙ্কা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
তবে এ প্রসঙ্গে রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক সরকার জানান, “এটি শুধু শিক্ষকদের নয়, শিক্ষার্থী-কর্মকর্তাসহ সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদার আন্দোলন। আমরা বাধ্য হয়েই সর্বাত্মক আন্দোলনের মতো কঠোর কর্মসূচিতে পালন করছি। তবে আমাদের দাবি পূরণ হয়ে গেলে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের এই ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। এ বিষয়টিও আমাদের মাথায় আছে।”
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিবৃতি প্রদান, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, মানববন্ধন, প্রতীকী কর্মবিরতি, স্মারকলিপি প্রদান এবং অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অর্ধদিবস এবং ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হয়। এছাড়াও ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।
বিএনএ/ সৈয়দ সাকিব, ওজি