26 C
আবহাওয়া
২:২৩ পূর্বাহ্ণ - মে ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-৮৬ (যশোর-২)

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হালচাল: সংসদীয় আসন-৮৬ (যশোর-২)


বিএনএ , ঢাকা: বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধারাবাহিক নির্বাচনী হালচাল প্রচার করছে। এতে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৫ম জাতীয় সংসদ থেকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর আসন ভিত্তিক সাংগঠনিক হালচাল তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম। আজ থাকছে যশোর-২ আসনের হালচাল।

যশোর-২ আসন 

যশোর-২ এই আসনটি চৌগাছা এবং ঝিকরগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এটি জাতীয় সংসদের ৮৬ তম আসন।

পঞ্চম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বিজয়ী হন

১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ আসনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ২৮ হাজার ৭ শত ৮২ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৬২ হাজার ৩ শত ৭৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর মকবুল হোসেন। দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ৪৬ হাজার ৮ শত ৫৪ ভোট।

ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির কাজী মনিরুল হুদাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। ভোটারবিহীন এই নির্বাচনে বিএনপির কাজী মনিরুল হুদাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সপ্তম সংসদ নির্বাচন: নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম বিজয়ী হন

১৯৯৬ সালের ১২ জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৩১ হাজার ১ শত ৪১ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৩ হাজার ১ শত ৫৯ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৮৬ হাজার ৭ শত ৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির মোহাম্মদ ইসহাক। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৫৮ হাজার ৪ শত ৫ ভোট।

অষ্টম সংসদ নির্বাচন: জামায়াতে ইসলামীর আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাৎ হুসাইন বিজয়ী হন

২০০১ সালের ১ অক্টোবর  অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ২ লাখ ৯৩ হাজার ৬ শত ৭১ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫ শত ৫৯ জন। নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাৎ হুসাইন বিজয়ী হন। দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭ শত ১৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ২০ হাজার ৮ শত ৯৯ ভোট।

নবম সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ বিজয়ী হন

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ১০ হাজার ৪ শত ৮ জন। ভোট প্রদান করেন ২ লাখ ৯৩ হাজার ৪ শত ৫৯ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৫৪ হাজার ২ শত ৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জামায়াত ইসলামীর আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাৎ হুসাইন। দাড়িঁপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪ ভোট।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আওয়ামী লীগের মনিরুল ইসলাম বিজয়ী হন

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮ শত ৪৮ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪ শত ৪২ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনিরুল ইসলাম বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৮৯ হাজার ৬ শত ২৩ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। কলস প্রতীকে তিনি পান মাত্র ৪৫ হাজার ৬শ ভোট। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচন: নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নাসির উদ্দিন বিজয়ী হন

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৫ হাজার ৮ শত ৮২ জন। ভোট প্রদান করেন ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯শত ৫৬ জন।
একাদশ জাতীয় সংসদ যশোর-২ আসেন প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের নাসির উদ্দিন, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাৎ হুসাইন, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির ফিরোজ শাহ, উদিয়মান সূর্য প্রতীকে গনফোরামের এম আছাদুজ্জামান, কাঁঠাল প্রতীকে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির বি এম সেলিম রেজা, হাত পাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো.আসাদুজ্জামান এবং মই প্রতীকে বাসদের মো. আলাউদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নাসির উদ্দিন বিজয়ী হন। নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭ শত ৯৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদাৎ হুসাইন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান মাত্র ১৩ হাজার ৯ শত ৪০ ভোট। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে।

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, যশোর-২ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগ, ষষ্ঠ সংসদে বিএনপি এবং অষ্টম সংসদে জামায়াতে ইসলামী বিজয়ী হয়।

YouTube player

দৈবচয়ন পদ্ধতিতে জরিপ

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর যশোর-২ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৭২.১৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৭.৭৯%, বিএনপি ২৪.৭৫%, জাতীয় পার্টি ০.৯৯%, জামায়াতে ইসলামী ২৮.৩৮ %, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৮.০৯% ভোট পায়।

১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৭.৮৯%। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪২.৭০%, বিএনপি ২৮.৭৫%, জাতীয় পাটি ২.৩৫%, জামায়াতে ইসলামী ২৩.৮২ %, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ২.৩৮% ভোট পায়।
২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮৯.৭৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪৫.৮৭%, ৪দলীয় জোট ৫২.২৫%, জাতীয় পার্টি ০.৭৯%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.০৯% ভোট পায়।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৯৪.০৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ১৪ দলীয় জোট ৫২.৮৮%, ৪ দলীয় জোট ৪৫.৫০%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দল ১.৬২% ভোট পায়।

চৌগাছা এবং ঝিকরগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত যশোর-২ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে। আর সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ডা. অধ্যাপক নাসির উদ্দীন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও মনোনয়ন চাইবেন।

তিনি ছাড়াও এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন এক ডজন নেতা। এদের মধ্য রয়েছেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির, সাবেক বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মাদ আলী রায়হান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এডভোকেট এ বি এম আহসানুল হক আহসান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোস্তফা আশীষ ইসলাম দেবু, চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান, ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম, ঝিকরগাছা উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক গিলবার্ট নির্মল বিশ্বাস।

বর্তমান সংসদ সদস্য ডা. নাসির উদ্দীন মনোনয়ন প্রসঙ্গে বলেন, গত সাড়ে ৪ বছর ধরে দিনরাত পরিশ্রম করে চৌগাছা-ঝিকরগাছায় ২৩০ কি. মি. পাকা রাস্তা, ৩৭টি স্কুল-কলেজ ভবন, ১০টি মাদ্রাসা এবং ৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, ঝিকরগাছা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, ২২৪টি সরকারি ঘর ও ৮৪৭টি পরিবারকে জমিসহ ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। চৌগাছা উপজেলায় নির্মান করা হয়েছে ১০০ শয্যার হাসপাতাল। ঝিকরগাছা হাসপাতালকেও ১০০ শয্যায় উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। চৌগাছা-ঝিকরগাছা এই দুই উপজেলায় সন্ত্রাস, মাদক, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি, সে কারণে মানুষ শান্তিতে ব্যবসাবাণিজ্য ও রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারছে।

সাবেক বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শহীদ মশিয়ূর রহমানের হাত ধরে ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন। দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, আমি এমপি থাকাকালে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। দুই উপজেলায় দুটি সরকারি কলেজ, দুটি সরকারি হাইস্কুল, শতভাগ বিদ্যুৎ, সিংহভাগ গ্রামীণ সড়ক পাকা, দুই উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, মডেল মসজিদসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড করেছেন তিনি।

এদিকে বিএনপি প্রার্থীরা, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার কথা মুখে বললেও ভিতরে ভিতরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় দলীয় মনোনয়ন চাইবেন যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মিজানুর রহমান খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাবেরা নাজমুল মুন্নি, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মো. ইসাহক, চৌগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জহুরুল ইসলাম, ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোর্তজা এলাহী টিপু।

এছাড়া ঝিকরগাছা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতা মাওলানা আরশাদুল আলম, জাতীয় পার্টির একাদশ জাতীয় সংসদের প্রার্থী ফিরোজ শাহ এবং অধ্যাপক রেজাউল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আসাদুজ্জামান দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।

তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, যশোর-২ সংসদীয় আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্গ। কিন্তু আওয়ামী লীগে রয়েছে চরম অন্ত কোন্দল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে কোন্দল তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। যা নির্বাচনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক অবস্থা মজবুত না হলেও কোন্দল নেই। তৃণমূল পর্যায়ে বিপুল ভোটার থাকলেও দুই দলেই জনপ্রিয় নেতা সংকট রয়েছে। তবুও আওয়ামী লীগকে হঠাতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ঐক্যবদ্ধ। আওয়ামী লীগ চাইবে ধারাবাহিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে। সব কিছু নির্ভর করছে ভোটের পরিবেশ পরিস্থিতির ওপর। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ৮৬তম যশোর ২ সংসদীয় আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হাড্ডাহাডি লড়াই হবে।

বিএনএ/ শিরীন, ওজি,ওয়াইএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ