24 C
আবহাওয়া
১১:২৮ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বুধবার চট্টগ্রাম কাস্টমসে ৭৬ লট পণ্যের নিলাম

বুধবার চট্টগ্রাম কাস্টমসে ৭৬ লট পণ্যের নিলাম

বুধবার চট্টগ্রাম কাস্টমসে ৭৬ লট পণ্যের নিলাম

বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডের ৭৬টি লট পণ্য নিলামে তুলছে। আগামি বুধবার (৯ জুন) এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এই নিলামের মোট ৭৬টি লটের মধ্যে রয়েছে পাঁচটি জাপানি টয়োটা গাড়ি, একটি আ্যাম্বুলেন্সসহ ৮৫৫ কন্টেইনার প্লাস্টিক হ্যাঙ্গার, ৫৩ কার্টন আইসক্রিম কাপ, ৪৭৮ রোল ফেব্রিক্স পণ্য, ৭২ প্লেট রাবার প্রোটেক্টর, ৩৩ কন্টেইনার ক্যাবল, ১৭ কন্টেইনার রেইনকোর্ট, ২ হাজার ৯৭০ পিস সোয়েটার, ৪৪ হাজার ৬শ’ পিস প্লাস্টিক পণ্য, দেড় কোটি টাকা মূল্য মানের প্লাস্টিকের দরজা-জানালা, ৬ ড্রাম ওষুধের কাঁচামাল, ৫৬ রোল আয়রন শীট, ১৪৭ কন্টেইনার লাইট, ১২ কন্টেইনার ক্যালেন্ডার ও ডায়েরি, ৩২০ ড্রাম মদ, ৪ কনটেইনার মেটাল বাটন, ২৭০ কেজি হাউড্রোলিক এসিড, ১ কন্টেইনার ব্যাটারি, ৭ কেস ওয়াশিং ক্যামিকেল, ৪০ ড্রাম রাসায়নিক পদার্থ, ৪০২ কন্টেইনার ভুট্টা রয়েছে।

কাস্টমসের নিলাম শাখা জানায়, নিলামের দরপত্র ও ক্যাটালগ বিক্রি গত রোববার (৬ জুন) শুরু হয়েছে। বিক্রি কার্যক্রম চলবে বুধবার (৯ জুন) দুপুর ২টা পর্যন্ত। নিলামের ক্যাটালগ ও দরপত্র জমা দেওয়া যাবে নিলামের দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত। এরপর বিকেল ৩ টায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে একযোগে নিলামের বক্স খোলা হবে।

নিলামের দরপত্র ও ক্যাটালগ পাওয়া যাবে সরকারি নিলাম পরিচালনাকারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশন প্রধান কার্যালয়, ৩০৬, স্ট্যান্ড রোড, মাঝিরঘাট, চট্টগ্রাম এবং বন্দর স্টেডিয়াম এর বিপরীতে কাস্টমস অকশন শেড থেকে। এছাড়া ঢাকার দরদাতারা ৮০, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার ঠিকানা থেকেও ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। জমা দেওয়া যাবে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখায় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে। এছাড়া ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনার (সদর) এর দপ্তরেও দরপত্র জমা দেওয়া যাবে।

ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে কেউ এই নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবে। নিলামে অংশগ্রহণ করতে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দরপত্রের সাথে হালনাগাদ করা ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সনদ, টিন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। এছাড়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ টিন সার্টিফিকেটের কপি অবশ্যই দাখিল করতে হবে। এছাড়া ক্যাটালগে বর্ণিত নিলাম সংক্রান্ত সকল শর্তাদি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

এ বিষয়ে নিলাম পরিচালনাকারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশন এর ম্যানেজার (নিলাম শাখা) মোহাম্মদ মোরশেদ জানান, ৭৬ লট পণ্য নিলামে বিক্রির জন্য যাবতীয় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। নিলামের ক্যাটালগ ও দরপত্র বিক্রি কার্যক্রম চলছে। এছাড়া আগ্রহী দরদাতারা নির্ধারিত সময়ে পণ্যগুলো দেখে নেওয়ার সুযোগও পাচ্ছে। আগামী ৯ জুন বুধবার চট্টগ্রাম ও ঢাকায় একযোগে নিলামের বক্স খোলা হবে।

কাস্টমস নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার আল আমিন বলেন, এবার ৭৬টি লটের নিলামের আয়োজন করেছে কাস্টমস হাউস। আগামি ৯ জুন এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে কাস্টমসের অকশন শাখায়।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তার (প্রশাসন) দফতরে ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দফতর এবং ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম-কমিশনার (সদর) এর দফতরে দরপত্র জমা দেওয়া যাবে। সব দরপত্র যাচাই-বাছাই করে যে বা যিনি সর্বোচ্চ দরপত্র দিয়েছেন তাকে পণ্য বুঝে নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরে ৪৯ হাজার ১৮ টিইইউএস কন্টেইনার রাখার ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ও পণ্য ডেলিভারির কাজ গতিশীল থাকায় বর্তমানে বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে ৩৬ থেকে ৩৭ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। তবুও বন্দরের চলমান কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে বন্দরে পড়ে থাকা আমদানিকৃত পণ্যগুলো নিলামে তোলা হচ্ছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বারবার নোটিশ পাঠানোর পরও যেসব আমদানিকারকরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য খালাসের উদ্যোগ নেয় না ওই সব পণ্যই মূলত নিলামে তুলতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়। পণ্য ভর্তি কন্টেইনার দ্রুত ছাড় করা হলে যেমন নতুন পণ্য রাখার সুযোগ তৈরি হয় তেমনি নিলামযোগ্য কন্টেইনার নিয়ম অনুযায়ী নিলামে তুললে বন্দর পরিচালনা কার্যক্রমেও গতি আসে।

উল্লেখ, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস হাউজ। আর নোটিশের ১৫ দিনের মধ্যে খালাস না করলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় আনা জব্দ করা পণ্যও নিলামে তোলা যায়।

সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার বিধান থাকলেও এটা কখনো কার্যকর করতে পারেনি কাস্টমস। নিলামটি সম্পন্ন হলে কাস্টমস হাউসের রাজস্ব আয় বাড়ার সাথে সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার জট কমবে। পাশাপাশি নিলামে যেসব পণ্য বিক্রি হয় না সেগুলো ধ্বংস করা হয়।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ