বিএনএ, নেত্রকোণা : সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু এমপি বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সবসময় সর্বোচ্চ আইনের শাসন চান। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কোন দুস্কৃতিকারী কোন অপকর্ম করে পার পাবে না। শাস্তি তাকে পেতেই হবে। শেখ হাসিনা চান দেশের সবাই শান্তিতে থাকবে এবং উচ্চ শিক্ষিত ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। এ জন্য দেশের প্রতিটি জেলায় মেডিক্যাল কলেজ ও’বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হচ্ছে। সকলের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করার জন্য সরকার কাজ করছে।‘
প্রতিমন্ত্রী রোববার (৭মে) নেত্রকোণার বারহাট্টায় দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত স্কুলছাত্রী মুক্তি কর্মনের বাড়িতে তার পরিবারবর্গের সাথে দেখা করে সমবেদনা জানানোর সময় এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং শোক প্রকাশ ও প্রয়াতের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
অন্যান্যের মধ্যে নেত্রকোণা জেলা পরিষদের চেয়াররম্যান মুক্তিযোদ্ধা অসিত সরকার সজল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়াররম্যান মোঃআতাউর রহমান মানিক, বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাইনুল হক কাসেম, বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খোকন কুমার সাহা, বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ খায়রুল কবির খোকন ও সাধারন সম্পাদক কাজী সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২মে) বিকেল দুইটার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রেমনগর ঈদগাহ মাঠের কাছে কাউছার মিয়া (১৮) নামের এক কিশোরের এলোপাতাড়ি দায়ের কোপে আহত হয় মুক্তি বর্মন। পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যূ হয়।
বুধবার (৩মে) বিকেলের দিকে মুক্তি বর্মনের পিতা নিখিল বর্মন বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। প্রায় একই সময় অভিযুক্ত কাউছার মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
মুক্তি বর্মন নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার প্রেমনগর গ্রামের নিখিল বর্মনের মেয়ে ও প্রেমনগর-ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন। গ্রেফতার কাউছার মিয়ার বাড়িও একই গ্রামে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুক্তি বর্মনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ওই কিশোর। প্রেমের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় মুক্তি বর্মনকে হত্যা করা হয় বলেও পুলিশকে জানায় ওই কিশোর ।
এদিকে মুক্তি বর্মনের হত্যাকারীর দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে প্রেমনগর-ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ হতে মানব বন্ধন হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিহত মুক্তিকে ফেরত আনা সম্ভব নয়। তবে দায়ী ব্যক্তির দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তি বিধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ছাড়া পরিবারটিকে নিরাপত্তাসহ সার্বিক সহায়তাদানেরও আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী। সবশেষে প্রতিমন্ত্রী ও জেলা পরিষদের পক্ষ হতে নিহত মুক্তি বর্মনের মা-বাবার হাতে বিশেষ অনুদানের পৃথক দুটি চেক তুলে দেওয়া হয়।
বিএনএ/ ফেরদৌস আহমাদ বাবুল, ওজি