ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ বা ‘মোখা’ (Cyclone Mocha) নিয়ে ভারত জুড়ে চলছে উৎকন্ঠা ! নানা প্রস্তুতি। যদিও বলা হচ্ছে এর সম্ভাব্য গতিপথ মিয়ানমারের আরাকানের দিকে। তবুও আগেভাগে পশ্চিবঙ্গের উপকূলীয় এলাকা সমূহে প্রাথমিক সতর্কবার্তা প্রেরণ করেছে সরকার।
ভারতের ওড়িশা সরকার সমস্তরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাগুলির জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে সেই রাজ্যের তরফে। মোচার প্রভাব সুন্দরবনের ওপর পড়লে ফের বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয় মানুষজন।
মোচা (Cyclone Mocha) সৃষ্টি হওয়ার আগেই ঘূর্ণিঝড় কোন কোন জায়গায় আছড়ে পড়তে চলেছে তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। মোচার ধ্বংসলীলা থেকে বাঁচতে আগে থেকেই তার জন্যে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী প্রস্তুত করে রাখতে চাইছে রাজ্য গুলো। কোন কোন রাজ্যে আছড়ে পড়বে মোচা (Mocha)? তা এখনও স্পষ্ট না হলেও সম্ভাবনার ভিত্তিতে মৌসুমি ভবন আপাতত চারটি রাজ্য ওড়িশা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গকে সতর্ক করেছে।
মোচার আছড়ে পড়ার সম্ভাব্য অঞ্চল বিশাল। তার গতিপথের মধ্যে ভারতের ওড়িশা থেকে মিয়ানমার রয়েছে। তার মাঝে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ। ফলে এই বিশাল অঞ্চলের কোথায় ‘মোচা’ তাণ্ডব চালাবে, এখন সে দিকেই নজর আবহবিদদের।
বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হয়েছে সেটি ভারতের কলকাতা থেকে ১৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। যদি সেই ঘূর্ণাবর্তটি দক্ষিণ মিয়ানমারের দিকে এগোতে থাকে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশায় ঢুকতে খুব বেশি সময় নেবে না। ফলে আরো শক্তি সঞ্চয় করার সুযোগ পাবে ‘মোচা’। তবে যাত্রাপথ যদি দীর্ঘ হয়, সে ক্ষেত্রে এর শক্তি কিছুটা ক্ষয় হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস আরো জানায়, বঙ্গোপসাগরের একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হবে ৮ মে। তার পর সেটি ৯ মে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ৯-১০ মের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। যে নিম্নচাপ অঞ্চলটি তৈরি হবে, তার প্রভাবে আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৮-১১ মের মধ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
বিএনএ,জিএন