বিএনএ,রাঙামাটি:‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকালে শহরের পিবিএল সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি অমল কান্তি চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি ড. আশিস কুমার তঞ্চংগ্যা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শিশু মনি চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. নিখিল চাকমা, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য প্রভাষক সেলিম মাহমুদ সাগর । স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. দর্শন চাকমা (ঝন্টু)।
বক্তব্যে প্রভাষক সেলিম মাহমুদ সাগর বলেন, বঙ্গবন্ধু’র ৭ই মার্চের ভাষণ একটি মহাকাব্য। প্রতিটি শব্দ যেন এক একটি কবিতা। ঐতিহাসিক ভাষণটি সারা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী নিপীড়িত মানুষের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে আজীবন। ভাষণটি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে ইউনেস্কোসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা যেন ইতিহাস বিকৃত করতে না পারে সংবিধানের ১৫০ (২) অনুচ্ছেদ ও পঞ্চম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দিশেহারা হাজার বছরের বঞ্চিত একটি নিরস্ত্র জাতিকে একটি ভাষণের মাধ্যমে মুক্তি ও স্বাধীনতার পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু।
আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, এটি সংগ্রাম-প্রেরণার মাস, বাঙালি জাতির জীবনে ভাষণটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ-লক্ষ মানুষের সামনে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) তিনি জ্বালাময়ী বক্তব্য দেন। ১৮ মিনিটের বক্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রেরণা পেয়ে সকল ধর্মের মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধের পর একটি সার্বভৌম স্বাধীন দেশের জন্ম হয়। ২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবরে ইউনেস্কো ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি যেন কোন ষড়যন্ত্র করতে না পারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে হবে এখন।
এ সময় বঙ্গবন্ধু পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য অরুন কুমার চৌধুরী।
বিএনএ/ কাইমুল ইসলাম ছোটন,ওজি