26 C
আবহাওয়া
৮:০৩ অপরাহ্ণ - ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » নাউজুবিল্লাহ অর্থ কী ও কখন বলতে হয়?

নাউজুবিল্লাহ অর্থ কী ও কখন বলতে হয়?

নাউজুবিল্লাহ অর্থ কী ও কখন বলতে হয়?

বিএনএ, ইসলামিক ডেস্ক: কোনো খারাপ কিংবা মন্দ কাজ দেখলেই অনেকে বলে থাকেন, নাউজুবিল্লাহ কিংবা নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক। কিন্তু কেন ‘নাউজুবিল্লাহ’ পড়া হয়? ‘নাউজুবিল্লাহ’র অর্থই বা কী? আর এটি কখন পড়তে হয়?

অনেকেই ‘নাউজুবিল্লাহ’ কিংবা ‘নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক’ এর অর্থ জানে না আবার কেন এবং কখন ‘নাউজুবিল্লাহ’ পড়তে হয় তা-ও অনেকে জানে না। আবার কেউ এটি পড়ার কারণ জানলেও না বুঝেই তা পড়ে থাকেন। ‘নাউজুবিল্লাহ’র অর্থ ও পড়ার কারণ জানা খুবই জরুরি। তবেই মানুষ গুরুত্বসহকারে এর ওপর আমল করবে।

নাউজুবিল্লাহ এমন একটি গুণান্বিত দোয়া; যা আপনাকে অন্যায়মূলক কাজ থেকে হেফাজত করে। কারণ এ দোয়ার মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর কাছে অন্যায়-অপরাধ, মন্দ কাজ থেকে বেঁচে থাকতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায়। এটি পড়লে মানুষের জীবন অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। এ জন্য নাউজুবিল্লাহ-এর অর্থ জেনে নেয়া প্রয়োজন। এটি পড়ার কারণও জেনে নেয়া প্রয়োজন।

‘নাউজুবিল্লাহি মিন জালিক; অর্থ হলো- ‘এই (মন্দ-খারাপ-অন্যায়) কাজ থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।’

শাব্দিক অর্থে- আমি আশ্রয় চাই, পানাহ চাই, বিরত থাকতে চাই আল্লাহর কাছে। ইহা (খারাপ-মন্দ-অন্যায়-অপরাধ) থেকে। অর্থাৎ আমি এই (অন্যায়-অপরাধ-মন্দ ও খারাপ) কাজ থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাই/আশ্রয় চাই।’

‘নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক’ কখন পড়তে হয়?
খারাপ ও ইসলাম (দীন) বিরোধী কোনো কথা শুনলে, কাজ হতে দেখলে বা ভুলবশত নিজে করলে বা করতে শুরু করলে আল্লাহর কাছে পানাহ/মুক্তি বা আশ্রয় চাওয়ার জন্য এই দোয়া ‘নাউজুবিল্লাহ মিন জালিক’ পড়তে হয়।

কারণ যখনই মানুষ এটি পড়ার কারণ এবং এটির অর্থ জানবে তখন মন থেকে এটি থেকে বিরত থাকার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে। এ দোয়াটি মানুষ হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করবে। যে উপলব্ধি মানুষকে অন্যায় ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে। তাছাড়া রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাবতীয় অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাইতেন। হাদিসের বর্ণনায় তা এভাবে এসেছে-

হযরত আমর আন নাকিদ ও যুহা্ইর ইবনে হারব রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশ্রয় প্রার্থনা করতেন অদৃষ্টের অনিষ্ট থেকে, দুঃখ পাওয়া থেকে, শত্রুদের আনন্দ থেকে এবং বালা-মুসিবতের কষ্ট থেকে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

বিএনএনিউজ/ বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ