বিশ্ব ডেস্ক: সৌদি আরব পরিষ্কারভাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধ বন্ধ,স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরাইলের সাথে কোন সম্পর্ক স্থাপন করা হবে না।
বুধবার(৭ ফেব্রুয়ারি২০২৪) এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সৌদি আরব জোরালোভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে তার অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। এতে বলা হয়, পূর্ব জেরুজালেম-সংবলিত ১৯৬৭ সালেল সীমান্তের ভিত্তিতে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি ‘আগ্রাসন’ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলের সাথে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সৌদি আরব সফরের প্রেক্ষাপটে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করল সৌদি আরব।
ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য সৌদি আরবকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সোমবার সৌদি আরবের কার্যত শাসক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে সাক্ষাত করে নতুন করে বিষয়টি উত্থাপন করেন। মধ্যপ্রাচ্য সফরের প্রথম দিনই তিনি সৌদি আরব যান। চার মাস ধরে চলা গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রেক্ষাপটে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের পাঁচটি দেশ সফর করছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে দু’ঘণ্টার বৈঠকে ব্লিনকেন ‘আরো একীভূত অঞ্চল নির্মাণ’ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই পরিভাষাটি দিয়ে ইসরাইল-সৌদি আরব সম্পর্ক স্বাভাবিকরণের কথাই বোঝানো হয়ে থাকে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, গাজায় মানবিক সমস্যার সুরাহা এবং সঙ্ঘাত যাতে আরো না ছড়িয়ে পড়ে, তার ওপরও বৈঠকে গুরুত্বারোপ করা হয়।
তারা আরো জানায় যে সৌদি আরব জানিয়েছে, তারা এখনো ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী। তবে তা নির্ভর করছে ভবিষ্যতে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ সৃষ্টিতে ইসরাইলের রাজি হওয়ার ওপর। উল্লেখ্য, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ইরানের প্রতিক্রিয়া
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো চুক্তি না করার বিষয়ে সৌদি আরবকে সতর্ক করেছেন।
রাইসি স্কাই নিউজকে বলেন, এই ধরনের একটি চুক্তি হবে “ফিলিস্তিনি জনগণের পিঠে ছুরিকাঘাত”।
তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই আঞ্চলিক ইসলামী দেশগুলো ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশার পবিত্র নীতি পরিত্যাগ করতে পারে না কারণ পবিত্র নগরী জেরুজালেমের মুক্তি সকল মুসলমানের বিশ্বাসের মূলে রয়েছে।
বিএনএনিউজ২৪,এসজিএন