বিএনএ, নোবিপ্রবি: ভালোবাসা দিবস বা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন দিবস যাকে অন্যভাবে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স উৎসবও বলা হয়। এটি একটি বার্ষিক উৎসবের দিন যা ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা এবং অনুরাগের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হয়। প্রথম দিকে এটি সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক একজন খ্রিষ্টান শহিদকে সম্মান জানাতে খ্রিষ্টধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে লোক ঐতিহ্যের ছোঁয়ার মধ্যে দিয়ে এটি বিভিন্ন দেশে আস্তে আস্তে প্রেম ও ভালোবাসার সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক একটি আনুষ্ঠানিক দিবসে পরিণত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিনটি বন্ধের দিন হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকলেও বাংলাদেশ সহ অধিকাংশ দেশেই দিনটি ছুটির দিন নয়।
এরই প্রেক্ষিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের নবীনদের বরণ করে নিতে আগামী মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আয়োজন করা হচ্ছে নবীন বরণ উৎসব। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে সব বিভাগের একসাথে কেন্দ্রীয়ভাবে এই নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ নিয়ে ক্যাম্পাসের সবার মধ্যে বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ। ভালোবাসা দিবসে জীবনের নতুন এক অধ্যায় শুরু হবে ভেবে নবীন শিক্ষার্থীরাও (১৭ ব্যাচ) রোমাঞ্চিত। সবার মধ্যে বিরাজ করছে খুশির আমেজ। উপকূলীয় অক্সফোর্ড খ্যাত নোবিপ্রবিতে স্বপ্নের ডানা মেলে উড়তে চায় তারা। ভ্রাতৃত্ব এবং ভালোবাসায় একই ক্যাম্পাসে ১৭ তম ব্যাচের সবাই মেলে ধরতে চান নিজেদের। নবীন বরণ নিয়ে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের কিছু নবীন শিক্ষার্থীর।
রুবাইয়াত শারমীন নোভা বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং(বিজিই) বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা ক্যাম্পাসে আসার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান ছিলাম। অবশেষে ১৪ ফেব্রুয়ারিতে নবীন বরণ হওয়ার নিউজটি শুনে অনেক আনন্দ পাচ্ছে। তাছাড়া এই দিনটিতে ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন একসাথে হওয়ায় দিনটি আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
নুসাইফা শাহরীন বাংলাদেশ ও মুক্তিযোদ্ধা স্টাডিজ(বিএমএস) বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, প্রতিবছরের ভালোবাসা দিবস আর এবারের ভালোবাসা দিবসের মাঝে একটি বড় পার্থক্য হচ্ছে এবার আমি দেশের সেরা বিদ্যাপীঠে অবস্থান করছি। একই সাথে ভালোবাসা দিবস এবং সেই সাথে আমাদের নবীনবরণ হবে শুনে খুবই উচ্ছাসিত আমি। সর্বস্তরে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান অর্জন করতে পারাই এই দিনটির বড় স্বার্থকতা।
মোছা সুবর্ণা ফেরদৌস সূচি শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ১২ বছর লেখাপড়া করে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সূচনা লগ্নে এসে পৌঁছেছি। এই দিনটি আমরা প্রত্যেকের কাছে অনেক বেশি প্রত্যাশিত ও মূল্যবান। আমরা একরাশ স্বপ্ন নিয়ে এই স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়েছি। আমরা নবীন ছাত্রছাত্রীরা প্রতিজ্ঞা করছি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামকে আরো বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে সর্বাত্মক চেষ্টা করব। ভালোবাসা মাসে ভালোবাসা দিয়ে আমাদের আগামী নোবিপ্রবি যাত্রা সুন্দর হোক।
বিএনএ/শাফি, এমএফ