বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : ক্রমবর্ধমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় জাপানের রাজধানী টোকিওতে এক মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদি সুগা এ ঘোষণা দেন। শুক্রবার থেকে চালু হওয়া এ জরুরী অবস্থা চলবে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে যে কঠোর লকডাউন চলছে এবং জাপানে প্রথম দফায় যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল সেই তুলনায় এটি কিছুটা নমনীয়। প্রাথমিকভাবে রেস্তোঁরা ও বারগুলোকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে। সন্ধ্যা ৭টার পর বারগুলোকে মদ পরিবেশন বন্ধের অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া বাসিন্দাদের রাত ৮টার পর অতিজরুরি নয়, এমন প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
সিএনএন জানিয়েছে, টোকিও জরুরি অবস্থা চেয়ে আবেদন করে। টোকিও-র মেয়র কোইকে বলেন, “জরুরী অবস্থা ঘোষণার জন্য আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। পরীক্ষায় সংক্রমিত বলে নিশ্চিত হওয়া লোকজনের সংখ্যা এবং চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থার বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে, অবিলম্বে লোকজনের চলাচল সীমিত করার প্রয়োজনীয়তা থাকায় আমরা উক্ত অনুরোধ জানাই”।
এর পাশাপাশি আরও তিন প্রদেশ আবেদন করে। সেগুলো হচ্ছে- সাইতামা, কানাগাওয়া এবং চিবা।
প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদি সুগা বলেছেন, ‘দেশব্যাপী নতুন করোনাভাইরাসের দ্রুত বিস্তারে জনজীবন ও অর্থনীতিতে অনেক বেশি প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
মহামারী মোকাবিলা বিষয়ক মন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা বলেছেন, ‘আমরা প্রতিদিন রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ পাচ্ছি। আমরা বেশ গুরুতর সংকটে পড়তে যাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, জাপানে গতবছর এপ্রিলে কয়েকটি জেলায় এবং একই মাসের শেষে সারাদেশে সম্প্রসারিত করে নেয়া জরুরী অবস্থা করোনাভাইরাসের প্রাথমিক প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ করতে সহায়ক হয়।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।