বিশ্বডেস্ক: ফিলিস্তিনের জেনিন শহর এবং এর গৃহহীন ফিলিস্তিনিদের ক্যাম্পে মঙ্গলবার(৫ডিসেম্বর) দুপুর থেকে প্রায় নয় ঘন্টা স্থায়ী এক সামরিক অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী।
এ সময় একজন মহিলা এবং একটি শিশু আহত হয়েছে এবং কমপক্ষে ১৮ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনিকে আটক এবং বেশ কিছু লোকের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে দখলদার বাহিনীর সেনারা।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা বুধবার(৬ ডিসেম্বর) জানায়, স্মোক গ্রেনেড, ব্যাপক গুলি বর্ষন এবং টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের মধ্যে দিয়ে সেনা বাহিনীর ৪০টি সাজোয়া যানের বহর শহর এবং এর শরণার্থী শিবিরে প্রবেশ করে।
পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয় জানিয়েছে, আহত মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জেনিন ক্যাম্পের বাসিন্দা সেলিম আবু আওয়াদের বাড়িতেও ‘এনেরগা’ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল দিয়ে বোমাবর্ষণ করেছিল, যার ফলে বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, মারাত্মক ক্ষতি হয়।বেসামরিক কর্মীরা বাড়িগুলিতে পৌঁছে আগুন নেভাতে সক্ষম হওয়ার আগেই আগুন পাশের বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়ে।
জেনিনের প্যালেস্টাইনিয়ান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে যে, জেনিন ক্যাম্পের অ্যাম্বুলেন্স ক্রুদের দখলদার বাহিনী যখন ক্যাম্পের ভেতর থেকে আহতদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল তখন তারা তাদের মারধর করেছে।
সেখানে ইবনে সিনা হাসপাতালের চারপাশ সৈন্যরা ঘেরাও করে রাখে। হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে সৈন্যদের তল্লাশি করতে দেখা যায়।
ওয়াফা প্রতিনিধি বলেছেন যে, দখলদার বাহিনী বাড়িগুলিতে ব্যাপক অভিযান ও তল্লাশি অভিযানে তারা ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এবং তাদের জিনিসপত্র ধ্বংস করে। বুলডোজারগুলি ক্যাম্পের উপকণ্ঠে এবং এর গলি ও রাস্তায় অবকাঠামো এবং যানবাহন ধ্বংস করেছে।
দখলদার সেনাবাহিনীর সদস্যরা বুলেট দিয়ে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারকে ধ্বংস করার ফেলে জেনিনের বেশ কয়েকটি ও আশেপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
ইসরায়েলি দখলদাররা ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে জেনিন শহর এবং এর শিবিরে ১৫বারের বেশি সামরিক আক্রমণ এবং অনুপ্রবেশ করেছে।
বিএনএ,এসজিএন