বিএনএ ডেস্ক : আজ ৬ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’। গণঅভ্যুত্থানের মুখে ১৯৯০ সালের এ দিনটিতে এরশাদের পতন ঘটে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ৮ দলীয়, বিএনপির নেতৃত্বে ৭ দলীয় এবং সিপিবি, জাসদ (ইনু), ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্বে ৫ দলীয় জোট সম্মিলিতভাবে ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। আন্দোলন করতে গিয়ে রাজপথে প্রাণ দিতে হয় নূর হোসেন, ডা. মিলনসহ নাম অজানা অনেক অকুতোভয় মানুষকে।
এ সময় তীব্র হয় গণআন্দোলন, শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে। সামরিক শিকলে বন্দী গণতন্ত্র মুক্তির আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হয় ১৯৯০ সালের ১৯ নভেম্বর। সেদিনই ৩টি জোট ঐক্যবদ্ধভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা ঘোষণা করে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
গণতন্ত্র মুক্তি দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে গণতন্ত্রের অতন্ত্র প্রহরী সংগ্রামী দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ নব্বই পরবর্তী তিন দশকে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে। ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আমাদের সরকার বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করে দেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা গণতন্ত্র, সংবিধান, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী চক্র এখনও সক্রিয় এবং নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আসুন, গণতন্ত্র ও দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করি এবং দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলি।”
বিএনএ/ওজি