বিএনএ, ঢাকা: যেসব গণমাধ্যম নিষিদ্ধ সংগঠন এবং ফ্যাসিস্টদের প্রচার-প্রচারণা চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বুধবার (৬ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে করা পোস্টের মাধ্যমে এ সতর্কবার্তা দেন তিনি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বাংলা সংবাদমাধ্যমের এক অনুষ্ঠানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে অতিথি করার কথা ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এই খবরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রনেতারা কড়া প্রতিক্রিয়া জানান। পরে অবশ্য সে সংবাদমাধ্যম সাদ্দাম হোসেনকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
এই ঘটনার পরই ফেসবুকে দীর্ঘ এক পোস্ট করেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। পোস্টের শুরুতেই তিনি লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সব সময় দুইটা চরিত্র। একদিকে সন্ত্রাসী, ফ্যাসিস্ট, নৃশংস বাহিনী দিয়ে হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন চালায় অন্যদিকে সুশীল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীদের দিয়ে ফ্যাসিবাদের বয়ান ও বৈধতা তৈরি করে’
এসময় আওয়ামী লীগ-সমর্থক একটি ফেসবুক পেজের নাম উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম যোগ করেন, ‘এটিমের কুখ্যাত প্রোপাগান্ডিস্টরা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নৃশংস খুনী নেতাদের জনপরিসরে হাজির করার পর সেটাকে এখন নরমালাইজ করতে বিভিন্ন মিডিয়া প্লাটফর্ম ও সাংবাদিকরা উদ্যোগ নিচ্ছে।’
‘তারা এমনভাব করছে যেন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ এখন বিরোধী দল। বিরোধী মত হিসেবে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের বক্তব্য প্রচার করার চেষ্টা করছে’-যোগ করেন নাহিদ।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের কথা মনে করিয়ে দিয়ে নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, ‘তারা ভুলে গেছে বাংলাদেশে একটা ম্যাস কিলিং ঘটেছে জুলাই-অগাস্টে যেখানে ছাত্র, শিশু, নারী, শ্রমিকসহ অসংখ্য মানুষের নির্মম মৃত্যু ঘটেছে এবং অসংখ্য জীবন পঙ্গু হয়ে গেছে। সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এখনো গণহত্যা ও পঙ্গুত্বের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ এখন বিচারের কাঠগড়ায়। অথচ আওয়ামী লীগকে নানা কৌশলে নানা আন্দোলনে সমাজে হাজির করতে সচেষ্ট বিভিন্ন শক্তি।’
পোস্টের শেষদিকে গণমাধ্যমের উদ্দেশে সতর্কবার্তা ছুঁড়ে দেন নাহিদ, ‘যারা মিডিয়ায় নিষিদ্ধ সংগঠন, গণহত্যার আসামী ও ফ্যাসিস্টদের প্রচার প্রচারণা করার সুযোগ করে দিবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন