বিএনএ ঢাকা: ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসায় এবার লঞ্চ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন মালিকরা। সদরঘাট থেকে লঞ্চ সরিয়ে নিচ্ছে তারা।
শনিবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহাবুব উদ্দিন। তিনি বলেন, শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থা থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানের কাছে ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাবের চিঠিও পাঠানো হয়। কিন্তু শনিবার দুপুর পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে কম ভাড়ায় লঞ্চ চালাতে মালিকরা অপারগতা প্রকাশ করেছেন বলে জানান মাহাবুব উদ্দিন।
তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ২৩ শতাংশ। স্টিলের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। এসব কিছু মিলিয়ে শতভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোন সিদ্ধান্ত না আসায় লঞ্চ না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিকরা।
অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার মাহবুব উদ্দিন আহমদ (বীর বিক্রম)র সই করা চিঠিতে বলা হয়, যাত্রীবাহী লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংস্থার পক্ষ হতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে বহুবার আবেদন করা হয়। কিন্তু ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। আগামি ৮ নভেম্বর ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি একটি সভা আহ্বান করা হয়। কিন্তু গত ৩ নভেম্বর সরকার হঠাৎ করে জ্বালানি তেল তথা ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় সরকার। ওইদিন রাত ১২টা থেকে দাম কার্যকর হয়। এই পরিস্থিতিতে জাহাজ পরিচালনা ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যায়। সঙ্গত কারণে সারাদেশে লঞ্চ মালিকরা যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি করার জন্য সংস্থাকে অনুরোধ করেন। অন্যথায় জাহাজ পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করেন।তেলের মূল্য বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় সম্পর্কে শুক্রবার বিকেলে সারাদেশের লঞ্চ মালিকদের নিয়ে সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হযয়েছে বলে এতে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) থেকে ডিজেল-কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ১৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। এর প্রতিবাদে শুক্রবার (৫ নভেম্বর) থেকে গণপরিবহন চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। এবার বন্ধ হলো লঞ্চ।
বিএনএনিউজ/আরকেসি