বিএনএ, বিশ্বডেস্ক: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৭৮ জন। এর মধ্যে চারজন সেনা সদস্য রয়েছেন।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা এসব তথ্য জানানো হয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, তিস্তার ভাটি এলাকা জলপাইগুড়ির গাজলডোবা, ময়নাগুড়ি ও কোতোয়ালিতে বেশিরভাগ মরদেহ পাওয়া গেছে। এছাড়া কোচবিহারের কুচলিবাড়ি ও হলদিবাড়ি, মিলনপল্লী ও শিলিগুড়িতে তিস্তা ব্যারেজ এলাকায়ও মরদেহ পাওয়া গেছে। কয়েকটি লাশ ভেসে এসেছে বাংলাদেশের গাইবান্ধাতেও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সিকিমের তিস্তা নদীতে এমন ভয়াবহ পানির তোড় আর ধ্বংসলীলা তারা কখনও দেখেছেন বলে মনে করতে পারছেন না।
সিকিমের লাচেন উপত্যকার লোনাক হ্রদের ওপরে মেঘভাঙা বৃষ্টি হয় গত মঙ্গলবার ও বুধবার মাঝরাতের পরে। তার সঙ্গে গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টিপাতও ছিল। লোনাক হ্রদের ওপর ওই মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টিতে তিস্তায় পানির পরিমাণ হঠাৎই খুব বেড়ে যাওয়ায় চুংথাম বাঁধ খুলে দিতে হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাঁধটির কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছে।
দেশটির জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানাচ্ছে, কয়েকজন ট্রেকার, সেনা এবং ভারত-তিব্বত সীমা পুলিশের কয়েকজন সদস্যও নিখোঁজ রয়েছেন।
আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মতে, এক ঘণ্টায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ১০ সেন্টিমিটার অথবা আধঘণ্টায় পাঁচ সেন্টিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হলে সেটাকেই মেঘভাঙা বৃষ্টি বা ক্লাউড বার্স্ট বলা হয়। মূলত সেই বৃষ্টিপাতের পর পার্বত্য সিকিম রাজ্যের লোনাক হ্রদ বুধবার উপচে পড়ে এবং এর ফলে বড় বন্যা দেখা দেয়।
এদিকে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত ভারতের সিকিম রাজ্য বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রবল বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের যোগাযোগব্যবস্থা। এই অবস্থায় রাজ্যটিতে ভ্রমণ স্থগিত করতে পর্যটকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাংয়ের সরকার।
বিএনএ/এমএফ