26 C
আবহাওয়া
১০:২১ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » টপ সিক্রেট যেভাবে ওপেন সিক্রেট হয়ে গেল

টপ সিক্রেট যেভাবে ওপেন সিক্রেট হয়ে গেল

শেখ হাসিনা,শেখরেহেনা

বিএনএ, ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনাসহ তাঁদের ৪ ছেলে মেয়ের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে আলাদা আলাদা পাশাপাশি ৬টি প্লট থাকার বিষয়টি এখন আর চাপা নেই।  টপ সিক্রেট থেকে এখন ওপেন সিক্রেট হয়ে গেল!

গোপনে ক্ষমতা খাটিয়ে সরকারি জমি বরাদ্দ নিলেন শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা। জমি বরাদ্দের তথ্য  প্রকাশ না করতে কঠোর নির্দেশও দিয়েছিলেন সাবেক এই দেশত্যাগী প্রধানমন্ত্রী।

পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে প্লট বরাদ্দের ফাইল রাজউকের রেকর্ড শাখা থেকে সরিয়ে অন্যত্র লুকিয়ে ফেলেন কতিপয় ব্যক্তি। পরে ফাইলটি রাজউক চেয়ারম্যানের জিম্মায় রয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। আগে যারা জানত না তারাও জেনে গেল।

সম্প্রতি রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবির মুখে এ সংক্রান্ত ৬টি ফাইল পুনরায় রেকর্ডরুমে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে চুরি বা নথি হারানোর শঙ্কায় সবক’টি ফাইল বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

২০২১ সালে রাজউকের আলোচিত পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে নিজের নামে প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু তিনি একা নন, প্লট নিয়েছেন তার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়) ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এ ছাড়া প্লট বরাদ্দ প্রাপ্তদের তালিকায় আছেন হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার দুই ছেলেমেয়ে। তারা কাঠা প্রতি ৩ লাখ টাকা হিসাবে প্রতিটি ১০ কাঠার প্লটের জন্য মোট মূল্য ৩০ লাখ টাকা করে পরিশোধ করেন।

ঢাকায় একাধিক বাড়ি থাকার পরেও কীভাবে তিনি রাজউকের প্লট পেলেন তা নিয়েও চলছে আলোচনা-সমালোচনা। নিজেকে অসহায়, দরিদ্র, লোভ লালসাহীন ও নিঃস্ব বলে রাজনৈতিক সভা সমাবেশে নানা বক্তব্য দিলেও শেখ হাসিনা নিজের নামে সরকারের দেয়া ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন। পূর্বাচলে প্রস্তাবিত কূটনৈতিক জোন ২৭ নম্বর সেক্টরে ২০৩ নম্বর রোডে তার প্লট নম্বর ০০৯। ২০২২ সালের ৩রা আগস্ট তার নামে বরাদ্দপত্র ইস্যু করে রাজউক।

সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে ডেকে শেখ হাসিনা নিজেই পরিবারের ৬ সদস্যের অনুকূলে ৬০ কাঠার এই প্লট বরাদ্দ দেয়ার সকল প্রক্রিয়া গোপনে সম্পন্ন করতে বলেন। ওই পরামর্শ মতে মন্ত্রী দ্রুত সময়ে অতি গোপনীয়ভাবেই প্লট বরাদ্দ দেয়ার কাজ শেষ করেন। ২০২১ সালের শেষের দিকে আবেদন করলে ২০২২ সালের প্রথম দিকে প্লট বুঝিয়ে দেয়া হয় এবং রাজউক নিজেদের টাকায় ওই জমিতে একটি ইটের বাউন্ডারিও করে দেয় বলে সূত্র জানিয়েছে।

রেকর্ডরুমে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ফাইলগুলো বিশেষ চিহ্ন দিয়ে রাখা হয়েছে। হাসিনার প্লট বরাদ্দের ফাইলের ওপর বড় ইংরেজি হরফে লেখা রয়েছে ভি-৩, পাতা ১৪১। ফাইলে শেখ হাসিনার স্বাক্ষরযুক্ত আবেদনপত্রের কপি, বরাদ্দপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপিসহ অন্যান্য কাগজপত্র রয়েছে।সূত্র: মানবজমিন

বিএনএ, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ