বিএনএ, ফেনী ‘আপনি জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, স্কুলের প্রধান শিক্ষক, কলেজের অধ্যক্ষ, প্রবাসী। প্লিজ, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান, স্পন্সর করেন, উদ্বুদ্ধ করেন। সিসিটিভি ক্যামেরা এখন অনেক সহজলভ্য। জন্মদিনের গিফট অন্য কিছু না দিয়ে একটা সিসিটিভি ক্যামেরা দিন। গলির মুখে, আন্ডার কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং কাভার করে, মেয়েদের স্কুলের রাস্তা কাভার করে, মাদরাসার সামনে, মন্দিরের চারপাশ কাভার করে—সব জায়গায়। কিশোর গ্যাং দমনে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) নিজ ফেসবুক ওয়ালে এমনই স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) নাদিয়া ফারজানা।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ফেনী জেলা পুলিশের উদ্যোগে কিশোর গ্যাং ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে এলাকাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তবে কিশোর গ্যাং থেকে কেউ বেরিয়ে আসতে চাইলে ডাটাবেজ থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হবে। জেলার ছয় থানা ও নিজ নিজ এলাকায় বিট অফিসারদের এ বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাদিয়া ফারজানা বলেন, ‘গ্যাং কালচার নির্মূল করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জনজীবন বিঘ্নিত হয় এমন কাজ কোনোভাবেই করতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘ডাটাবেজ একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। নিজেকে শুধরে নিলে ডাটাবেজ থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে। অনেক সময় দেখা যায় সন্তান কী করে তা অভিভাবক জানেই না। অনেকে অভিভাবকের কথাও শুনতে চায় না। অনেকের অভিভাবকদের ডেকে এনে বোঝানোর চেষ্টা করছি। তবে কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
বিএনএ/এবিএম নিজাম উদ্দিন, ওজি