বিএনএ বিশ্বডেস্ক : কাশ্মীরের মুসলিমদের নিয়ে তাদের কথা বলার অধিকার রয়েছে বলে তালেবান দাবি করার পরেই নড়েচড়ে বসেছে জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসন। স্থানীয় সংবাদপত্রগুলিকে প্রশাসন নির্দেশ দেয়,তালিবান তথা আফগানিস্তানের ব্যাপারে কোনও কিছু লেখা চলবে না।
তালিবানের এমন বক্তব্য সামনে আসার আগে থেকেই অবশ্য জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসন আফগানিস্তানের পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছিল। স্থানীয় একটি উর্দু পত্রিকার সম্পাদক বলেন, ‘‘তথ্য অধিকর্তার দফতর থেকে আমাদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আফগানিস্তান নিয়ে কোনও কিছু লেখা চলবে না।’ লিখলে সরকারি বিজ্ঞাপন মিলবে না।
এমনকি হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মৃত্যুর খবরও কাশ্মীরের কাগজগুলিতে গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়নি। সম্পাদকেরা জানাচ্ছেন, জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিন্হার মিডিয়া উপদেষ্টা এ নিয়ে বড় খবর না করার জন্যই তাঁদের বলেছিলেন। কাশ্মীরের খবরের কাগজগুলিতে সবচেয়ে বেশি জায়গা মিলছে জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিন্হার।
পাশাপাশি কাশ্মীরে খবর করার ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তন এসেছে। যেমন, এনকাউন্টারের প্রসঙ্গ এলে পুলিশের বক্তব্যই প্রকাশ করছে সংবাদপত্রগুলি। সে সবের সঙ্গে যদি আইনশৃঙ্খলার মতো বিষয়গুলি জুড়ে যায়, তা নিয়ে খবর প্রকাশিত হয় না।
বিএনএ/ ওজি
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা