বিএনএ,চট্টগ্রাম: কঠোর লকডাউনের ১৪ তম দিনে বিধিনিষেধ অমান্য করায় চট্টগ্রাম নগরজুড়ে ১৫৭ মামলায় ৯৮ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) দিনব্যাপি নগরীর হালিশহর, পাহাড়তলী, চকবাজার, বাকলিয়া, কর্ণফুলী, আকবরশাহ, বায়েজিদ, খুলশী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, ফিরিঙ্গীবাজার, সদরঘাট, ডবলমুরিং, বন্দর, পতেঙ্গা, ইপিজেড, নতুন ব্রিজ, মইজ্জারটেক ও লালখান বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, বিআরটিএ ও চসিকের ২১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই জরিমানা আদায় করেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালনে সচেতন করেন।
নগরের বাকলিয়া, চকবাজার, খুলশী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, হালিশহর, পাহাড়তলি, লালখান বাজার, আকবরশাহ, বায়েজিদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূরজাহান আক্তার সাথী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মামনুন আহমেদ অনিক, বিবি করিমুন্নেছা, ফাহমিদা আফরোজ, হুছাইন মুহাম্মাদ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস। এসময় তারা ৮৩ মামলায় ৪১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
নগরের বন্দর, পতেঙ্গা ও ইপিজেড এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হাসান ও মুহাম্মদ ইনামুল হাছান অভিযান চালিয়ে ১৪ মামলায় ৫ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। পাশাপাশি নগরের চকবাজার, বাকলিয়া ও কর্ণফুলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৬ মামলায় ৯ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা ইসলাম ও মো. মাসুদ রানা।
এছাড়া ডবলমুরিং ও সদরঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৫ মামলায় ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ও জিসান বিন মাজেদ। তাছাড়া বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার দাস ও শাহারিয়ার মুক্তার নগরের নতুন ব্রিজ ও মইজ্জারটেক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১৩ মামলায় ৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ বিস্তার রোধে জেলা প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিএনএনিউজ/মনির