বিএনএ, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের তারাকান্দায় আ. সামাদ হত্যার ঘটনায় দুই সহোদরসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার দাদরা এলাকার মো. আলাল উদ্দিনের ছেলে মো. রবিন (১৯), তার বড় ভাই মো. রোহান মিয়া (২৪), ওই উপজেলার হাটপাড়া গ্রামের মো. মুস্তাফিজুর রহমান নাঈম (১৯), পুঙ্গুয়াই গ্রামের মো. শাহীনুর ইসলাম (২২)।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি সফিকুল ইসলাম গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মো. রবিন মিয়া নিহত অটোরিকশা চালক সামাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। বন্ধুত্বের সুবাদে সামাদ রবিনের বাড়িতে নিয়মিত আসা যাওয়া করত। রবিনের বাড়িতে আসা যাওয়ার সুবাদে তার ছোট বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সামাদের। প্রেমের বিষয়টি রবিন ও রোহান জানার পর সামাদকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে আ. সামাদের অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘোরাফেরা করে সময় ক্ষেপন করে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পঙ্গুয়াই উমেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সামাদকে পাশে ঝোপের আড়ালে নিয়ে প্লাস্টিকের রশি ও জালের টুকরা গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করে স্কুলের সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলে রাখে।
পরদিন মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সকালে স্কুলের পাশে অটোরিকশা দেখে আশপাশে সামাদকে খোঁজাখোঁজি করতে থাকে। খোঁজাখোঁজির এক পর্যায়ে সেপটিক ট্যাংকে পা দেখতে পেরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এই ঘটনার পর ওই দিন নিহত সামাদের বাবা মো. শাহজাহান মিয়া অজ্ঞাত আসামি করে তারাকান্দা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর তারাকান্দা পুলিশের সহায়তায় রাতেই অভিযান চালিয়ে খুনের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের আদালতে পাঠানোর পক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
নিহত সামাদ মিয়া উপজেলার বালিখাঁ ইউনিয়নের দাদরা গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে। সে পেশায় অটোরিকশাচালক চালক ছিলেন।
বিএনএনিউজ/হামিমুর রহমান/এইচ.এম।