26 C
আবহাওয়া
১২:৩২ পূর্বাহ্ণ - মে ৭, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » খয়রাতি পদ থেকে অবসর পেয়ে খুশি অভিমানী লেয়াকত

খয়রাতি পদ থেকে অবসর পেয়ে খুশি অভিমানী লেয়াকত

খয়রাতি পদ থেকে অবসর পেয়ে খুশি অভিমানী লেয়াকত

বিএনএ, চট্টগ্রাম: গত ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আংশিক কমিটিতে ঘোষণা করে বিএনপি। ওই কমিটিতে মো. ইদ্রিস মিয়া আহ্বায়ক, লায়ন হেলাল উদ্দিনকে সদস্য সচিব, আলী আব্বাসকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, লেয়াকত আলী ও মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পাকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়।

এই সময় কমিটি ঘোষণার পর পর নিজ ফেসবুকে নানান ধরণের পোস্ট দিয়ে নিজের অভিমানের কথা তুলে ধরেন বিএনপির এই নেতা । তাকে দেয়া পদকে খয়রাতি পদ বলে উল্লেখ করেছিলেন।

এদিকে আংশিক কমিটি ঘোষণার তিন মাস পর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে পটিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ্ব মো. ইদ্রিস মিয়াকে আহবায়ক ও আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন মো. হেলাল উদ্দিনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এর আগে ঘোষিত ৫ সদস্যের কমিটিতে বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীর নাম যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে থাকলেও এবার পুর্নাঙ্গ কমিটিতে তার নাম নেই। এতে হতাশ তার সমর্থকরা। এদিকে, কমিটিতে আগের বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনামকে দেওয়া হয়েছে ‘সম্মানসূচক’ সদস্য পদ।

মঙ্গলবার (৬ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বাশখালী থেকে স্থান পেয়েছেন যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আজিজুল হক চৌধুরী, আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, জামাল হোসেন, মুজিবুর রহমান, রেজাউল করিম চৌধুরী নেছার ও সাঈফুদ্দিন সালাম মিঠু।

কমিটিতে আরও ৪৩ জনকে সদস্য করা হয়েছে। তারা হলেন- শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, ইফতেখার মহসিন চৌধুরী, মোস্তাক আহমদ খান, এনামুল হক এনাম, বদরুল খায়ের চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া, আমিনুর রহমান চৌধুরী, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মাস্টার মোহাম্মদ লোকমান, শওকত আলম চৌধুরী, ছলিম উদ্দিন চৌধুরী, হাজী মো. রফিকুল আলম, মাস্টার মোহাম্মদ রফিক, রাজীব জাফর চৌধুরী, সাজ্জাতুর রহমান চৌধুরী, সরওয়ার হোসেন মাসুদ, জাহাঙ্গীর কবির, হাজী মোহাম্মদ ওসমান, জাগির আহমদ, আমিনুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক বেলাল, জসীম উদ্দিন, সালাহ উদ্দিন চৌধুরী সোহেল, শেফায়েত উল্লাহ চক্ষু, ফজলুল কবির ফজু, মোহাম্মদ শাহীনুর শাহীন, মোহাম্মদ ঈসমাইল, ইফতেখার হোসেন চৌধুরী, হেলাল উদ্দিন, জাবেদ মেহেদী হাসান সুজন, মোহাম্মদ ইব্রাহীম, দিল মোহাম্মদ মঞ্জু, এম মনজুর উদ্দিন, মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, সালেহ জহুর, দেলোয়ার আজীম, শাহাদাত হোসেন সুমন, মোস্তাফিজুর রহমান ও দেলোয়ার হোসেন।

এদিকে দলের দুঃসময়ে ত্যাগ স্বীকার করা নেতাদের মূল্যায়ন না করায় তাদের বিশাল কর্মী বাহিনীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

দলীয় নেতা-কর্মীদের মতে, দলের দুঃসময়ে ত্যাগ স্বীকার করা লেয়াকত আলীকে চরম অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। কমিটি ঘোষণার অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। মোহাম্মদ আরিফ নামের এক ছাত্রদল নেতা লিখেছেন, “এতো সবকিছুর ঊর্ধ্বে আমরা আপনাকে ভালোবাসি। আপনাতে ছিলাম, আপনাতেই আছি, আপনাতেই থাকব। টাকা আর ষড়যন্ত্রে সবকিছু হলেও ভালোবাসা হয় না।”

লেয়াকত আলীর কর্মীসমর্থকরা মনে করেন, লেয়াকত আলী গত ১৬ বছরে রাজনীতি করতে গিয়ে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার কর্তৃক জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। এমনকি চেয়ারম্যান পদও হারিয়েছিলেন।

লেয়াকত আলী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৬ সালে ১৩২০ মেগাওয়াটের নির্মাণাধীন গণ্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধিতা করে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন লেয়াকত আলী।

এক প্রতিক্রিয়ায় লেয়াকত আলী বলেন, মানুষের জীবনের এক পর্যায়ে গিয়ে অবসরের প্রয়োজন হয়। এখন আমি মনে করি, দল আমাকে অবসর দিয়েছে। এতে আমি খুশি হয়েছি। দলের প্রতি আমার রাগ-ক্ষোভও নেই। আপসোসও নেই।’

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর দেশের আলোচিত শিল্পগোষ্ঠী এস আলমের বিলাসবহুল গাড়িকাণ্ডে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি।

বিএনএনিউজ/ নাবিদ

 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ