বিএনএ, ঢাকা : বিদ্যুতের অপচয় রোধ করতে এবং বিদ্যুতের যথাযথ হিসাব রাখতে সরকার বেশ কয়েক বছর ধরে দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার স্থাপন করেছে। গ্রাহকবান্ধব এই মিটারটিতে অ্যানালগ মিটারের সমস্যাগুলো নেই।
বৈদ্যুতিক প্রিপেইড ডিজিটাল মিটার ব্যবহারের কিছু তথ্যঃ
প্রথম বার ১০০০ টাকা রিচার্জে আপনি পাবেন ৭৯২ টাকা।
কারণঃ
১। মিটার পরীক্ষার সময় আপনাকে প্রথমেই ১০০ টাকা মিটারের সাথে দেওয়া হয়েছিল। তাই প্রথম ১ বার ১০০ টাকা কাটবে।
২। ডিমান্ড চার্জ আগে প্রতি কিলো ওয়াট লোডের জন্য ছিল ২৫ টাকা এখন ডিজিটাল মিটারের ক্ষেত্রে ১৫ টাকা (প্রতি মাসে এক বার করে কাটবে)।
৩। মিটার ভাড়া ৪০ টাকা (প্রতি মাসে এক বার)।
৪। সরকারি ভ্যাট আগেও ছিল ৫% এখনো ৫%।
৫। সার্ভিস চার্জ ১০ টাকা (প্রতি মাসে একবার)।
এই সব কারণে ডিজিটাল মিটার প্রথম ১০০০ টাকার কার্ড রিচার্জে ১০০০ টাকার স্থানে ৭৯২ টাকা দেখাবে, কিন্তু আপনি ঐ মাসেই যদি আবার ১০০০ টাকা রিচার্জ করেন তাহলে শুধু সরকারি ভ্যাট ৫% টাকা কাটার পর বাকি টাকা মিটারে রিচার্জ হবে।
স্থিতি জানতে আরও কিছু বিশেষ তথ্যঃ
১। আপনি কত ইউনিট ব্যবহার করেছেন তা জানার জন্য ৮০০ চাপুন।
২। আপনার মিটারে কত টাকা জমা আছে তা জানতে ৮০১ চাপুন।
৩। ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স জানতে ৮১০ চাপুন।
৪। মিটারটি চালু অথবা বন্ধ করতে ৮৬৮ চাপুন।
৫। আপনার মিটারটি কত কিলোওয়ার্টের তা জানতে ৮৬৯ চাপুন।
জেনে রাখা ভালো :
১. বিদ্যুতের ওভারলোডের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যেমন, এক কিলোওয়াট মিটারের ক্ষেত্রে লাইট, ফ্যান, ফ্রিজ ইত্যাদি সব ইলেকট্রিক সরঞ্জাম মিলিয়ে সর্বোচ্চ এক কিলোওয়াটের অর্থাৎ ১০০০ (এক হাজার) ওয়াটের লোড ব্যবহার করা যাবে। এক কিলোওয়াটের বেশি লোডের কোনো যন্ত্রপাতি (যেমন ইস্ত্রি, হিটার) ইত্যাদি ব্যবহার করলে অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তারপরও এসব বেশি লোডের যন্ত্রপাতির ব্যবহার চালিয়ে গেলে বিদ্যুত যাওয়া-আসা করবে। আমাদের যাদের বেশি লোডের যন্ত্রপাতি নিয়মিতভাবে ব্যবহার করতে হয় তারা বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করে মিটারের সংযুক্ত লোডের পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে পারি। তখন বেশি লোডের কারণে বিদ্যুতের যাওয়া-আসার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
২. মিটারে টাকার পরিমাণ কমে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এলে মিটারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংকেত (Alarm) দিবে। এই পর্যায়ে টাকা শূন্য হয়ে গেলে মিটার তথা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। তবে সাপ্তাহিক বা অন্যান্য ছুটির দিনে মিটার বন্ধ হবে না। টাকা একেবারে শেষ হয়ে গেলেও ঐ দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত মিটার চালু থাকবে। এই সময়ের মধ্যে মিটার রিচার্জ করতে হবে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।