27 C
আবহাওয়া
৬:২৩ অপরাহ্ণ - জুলাই ৮, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » ১৫২কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে কী বাজারে তেলের কৃত্রিম সংকট!

১৫২কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে কী বাজারে তেলের কৃত্রিম সংকট!

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে হাইকোর্টে রিট 

বিশেষ প্রতিবেদন: দেশের সয়াবিন তেল প্রস্তুত কারক মিল ও মার্কেটে ৪কোটি লিটারের বেশি তেল মজুত রয়েছে। এ সব তেল শনিবার(৭মে) থেকে কার্যকর হওয়া নতুন ধার্য্য মূল্যে বাজারে ৩৮টাকা বেশিতে বিক্রি হলে তেল ব্যবসায়িরা একশত ৫২কোটি টাকা সাধারণ ভোক্তাদের নিকট থেকে লাভ করবেন।

এই টাকা হাতিয়ে নিতে খুচরা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচার অ্যাসোসিয়েশন বৃহস্পতিবার(৫মে) দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বলেছে, নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৮ ও খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকায় বিক্রি হবে। ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৮৫ টাকা এবং প্রতি লিটার পাম অয়েল বিক্রি হবে ১৭২ টাকায়।

বর্তমানে দেশের বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে ১৩৬ টাকা লিটার। এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৭৬০ টাকা। নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী আগের চেয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলে লিটারপ্রতি ৩৮ টাকা ও খোলা তেলে লিটারপ্রতি ৪৪ টাকা বেড়েছে।

সাধারণ ক্রেতারা জানান, রমজানের শেষ দিকে সয়াবিন তেল নিয়ে লুকোচুরি শুরু হয়। অতিরিক্ত দাম দিয়েও তেল কিনতে পারছিলেন না ভোক্তারা। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী, বনানী, তেজকুনীপাড়াসহ বড় বাজারগুলোতে সয়াবিন তেলের সংকট ছিল। দোকানদারা একজনকে ৫লিটারের বেশি তেল বিক্রি করতেও রাজি হচ্ছিল না।
খুচরা তেল দোকানদাররা বলেন, কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে না। তবে তেল সরবরাহকারীরা বলেন, খুচরা বিক্রেতারা দাম আরও বাড়ার গুজবে তেল মজুত করছেন। তাতে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে।

গত ২০ মার্চ ভোজ্যতেলে দাম সমন্বয় করা হয়। তখন বোতল সয়াবিনের দাম লিটারে ৮টাকা কমানো হয়। এছাড়া, খোলা সয়াবিনের দাম লিটারে ৬টাকা ও পাম তেলের দাম লিটারে ৩টাকা কমানো হয়।

এরআগে, সরকার ভোজ্য তেলের আমদানি পর্যায়ে শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ এবং উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে শুল্ক প্রত্যাহার করে।

উল্লেখ,চলতিমাসের শুরুতেই চট্টগ্রাম বন্দরে একটি জাহাজ হতে খালাস হয়,২ কোটি ২৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল। এসব তেল আমদানি করেছে সিটি গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড ও সেনা কল্যাণ এডিবল অয়েল লিমিটেড।

আরও পড়ুন : আবারও বাড়লো সয়াবিন তেলের দাম

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বাজারের বড় বড় তেলের দোকানগুলোতে হাজার হাজার লিটার তেল গুদামজাত রয়েছে। যা বাড়তি দামে গো স্লো নীতিতে বিক্রয়ের জন্য খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ছাড়া হচ্ছে। অভিজ্ঞমহলের মতে, দেশে ৪কোটি লিটারের বেশি তেল মজুত রয়েছে। তেলের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক। এই ৪কোটি লিটার তেল অতিরিক্ত ৩৮টাকায় বিক্রি হলে তেল বিক্রেতারা অতিরিক্ত ১৫২কোটি লাভ করবেন।অথচ তাদের আমদানী খরচ ছিল সেই আগের মতই।
বিএনএনিউজ২৪

Loading


শিরোনাম বিএনএ
উখিয়ায় নদীতে মিলল ইউপি সদস্যের মরদেহ রেকর্ড বৃষ্টিতে ডুবে গেছে ফেনী শহর নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে সরকার : পরিবেশ উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উভয়ের জন্য লাভজনক শুল্ক চুক্তির আশায় ঢাকা: শফিকুল আলম চট্টগ্রামের জামালখানে বহুতল ভবনে আগুন পিআর কী: জামায়াত কাকে সরকার গঠনে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে? জুলাই শহিদদের প্রেরণা অনুসরণ করলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব:তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা কক্সবাজারে সমুদ্রে তলিয়ে চবি ছাত্র নিহত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল যেভাবে দেখা যাবে গাজায় ইসরায়েলি হামলা, একদিনে ১০৫ ফিলিস্তিনি নিহত