অধ্যাপক আবদুল কাদের খান ১৯২৫ সালের ১৪ অক্টোবর চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস ঢাকায়। পিতার নাম-আবদুল ওয়াহেদ এবং মাতার নাম-সামসুন্নেছা। তিনি ১৯৪৫ সালে সরকারি মুসলিম হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৪৭ সালে ঢাকা কলেক থেকে আইএসসি, ১৯৫৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসা বিষয়ক উচ্চতর প্রশিক্ষণ লাভ করেন। ১৯৫৪ সালে কর্মজীবনের শুরুতে মানিকগঞ্জের সাব-ডিভিশনাল হেলথ অফিসার হিসেবে যোগ দেন। পরে চট্টগ্রামে ‘জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা’ ঢাকায় ‘মশক নিবারণ স্কিমে অফিসার ইনচার্জ, সহকারী পরিচালক ‘ম্যালেরিয়া’ এবং ডেপুটি চিফ, রোগতত্ত্ব বিভাগ, কলেরা রিসার্চ ল্যাবে কাজ করেন। ১৯৭৫ সালে ম্যালেরিয়া ইনস্টিটিউট এর পরিচালক, সরকারের ফার্মাসিটিউক্যাল প্রডাকশন ল্যাবের ‘প্রফেসর অব ইপিডেমিওলজি’ হিসেবে কাজ করেন। তিনি ১৯৮৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘অতিরিক্ত মহাপরিচালক’ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ দেশ বিদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে তিনি ‘কনসালটেন্ট’ হিসেবে কাজ করেছেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন ও আন্তর্জাতিক জার্নালে অনেক গবেষণামূলক প্রবন্ধ-নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লিখিত ‘ইপিডেমিওলজি এন্ড ডিজিজেস কন্ট্রোল’ ৬ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। চিকিৎসা বিষয়ক লেখালেখি ছাড়াও তিনি একজন রবীন্দ্র গবেষক এবং সুসাহিত্যিক। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সমাজসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন।
আবদুল কাদের খান রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী হিসেবে ব্যারাকে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। একুশের আন্দোলনে তিনি সকল পর্বেই সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার পক্ষের আন্দোলন, কন্ট্রোল রুমের কাজে সহায়তাসহ প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণে আবদুল কাদের খান ছিলেন একনিষ্ঠ কর্মী।
সূত্র: যারা অমর ভাষা সংগ্রামে, লেখক: এমআর মাহবুব
সম্পাদনায়: মনির ফয়সাল
পড়ুন আগের পর্ব: ভাষা সৈনিক (১৭) ক্যাপ্টেন (অব.) ডা. আব্দুল বাছেত