বিএনএ, ঢাকা: প্রতিনিয়ত হাজার হাজার রোহিঙ্গা কৌশলে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। এতে কিছু সংখ্যক আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হলেও বেশিরভাগ রোহিঙ্গা চলে যাচ্ছে নিরাপদ গন্তব্যে। আর তারা ক্যাম্পের বাইরে গিয়ে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হচ্ছে।
বুধবার (৬ এপ্রিল) সকালে পালিয়ে যাওয়ার সময় ১২৮ জনসহ গত ৩ দিনে উখিয়া থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩১২ জনকে আটক করেছে কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
তিনি বলেন, প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পের বাইরে আসা রোহিঙ্গারা সস্তায় শ্রম বিক্রি করছে। তারা বিভিন্ন পরিবহনে চালক ও চালকের সহকারী বা শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। কেউ কেউ বাসাবাড়িতে গিয়েও কাজ করছে। এতে স্থানীয় শ্রমজীবীরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি এসব রোহিঙ্গার সঙ্গে স্থানীয় অপরাধীচক্রের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠায় জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের বাইরে আসার প্রবণতা রোধে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আটকদের নিজ নিজ শিবিরে পাঠানো হচ্ছে।
পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ক্যাম্প থেকে যেভাবে রোহিঙ্গারা সারাদেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে আগামীতে এমন কোনো জেলা বা উপজেলা থাকবে না যেখানে রোহিঙ্গা পাওয়া যাবে না। তাই রোহিঙ্গারা যাতে ক্যাম্প থেকে সহজে বের হতে না পারে সে ব্যাপারে ক্যাম্প প্রশাসনকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহবান জানান।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহাম্মদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় উখিয়া স্টেশনের আশেপাশে অভিযান চালিয়ে ১২৮ জনসহ গত তিন দিনে ৩১২ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে এসব রোহিঙ্গাদের কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করা হয়েছে৷
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার উখিয়ার আশে-পাশে অভিযান চালিয়ে ৮০ রোহিঙ্গাকে আটক করে উখিয়া থানা পুলিশ। এর আগে ৪ ও ৩ এপ্রিল একইভাবে ক্যাম্প থেকে পালানোর সময় অভিযান চালিয়ে ১৮৪ রোহিঙ্গা নাগরিকসহ ৬ দালালকে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে ৪ এপ্রিল টেকনাফ থানা পুলিশ ৫০ রোহিঙ্গাকে আটক করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠায়।
বিএনএ/এমএফ