বিএনএ, স্পোর্টস ডেস্ক : মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত উত্তেজনায় ঠাসা এক ম্যাচ উপভোগ করলে আইপিএলপ্রেমীরা।ম্যাচের চেহারা ক্ষণে ক্ষণে বদলিয়েছে। কখনো মনে হয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু জিততে চলেছে। আবার কখনো মনে হয়েছে রাজস্থান রয়্যালসেই জয় নিশ্চিত। অথচ রাজস্থানের দেওয়া ৩ উইকেটে ১৭০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১১ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বেঙ্গালুরু।
এমন দোলাচলের ম্যাচে শেষ হাসি ফুটল বেঙ্গালুরুর মুখেই। প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচটি ৪ উইকেটে জিতে নিয়েছে ফাফ ডুপ্লেসির দল। আবার যখন মনে হচ্ছিল ম্যাচ রাজস্থান রয়্যালসের দখলে, তখনই ওয়াংখেড়েতে দেখা গেল দীনেশ কার্তিক ঝড়। সঙ্গ দিলেন শাহবাজ আহমেদ। এই দুজনের দাপটে রাজস্থানের বিরুদ্ধে প্রায় হারতে বসা ম্যাচ ৪ উইকেটে জিতল বেঙ্গালুরু।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অন্য ম্যাচের মতো শুরুটা হয়নি রাজস্থানের। মাত্র ৪ রান করে আউট হন যশস্বী জায়সবাল। আগের ম্যাচের ছন্দে ছিলেন না জস বাটলারও। দ্রুত রান না উঠলেও দেবদত্ত পাড়িক্কলের সাথে জুটি বাঁধেন তিনি। দুজনে মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ৩৭ রান করে হর্ষল প্যাটেলের বলে আউট হন পাড়িক্কল। রান পাননি অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন।
প্রথম ১৫ ওভারে খুব দ্রুত রান না উঠলেও উইকেটে ছিলেন বাটলার। তার ফল পেলেন শেষ দিকে। শেষ দুই ওভারে উঠল ৪২ রান। শিমরন হেটমায়েরকে সাথে নিয়ে দলকে ১৬৯ পর্যন্ত নিয়ে গেলেন বাটলার। শেষ পর্যন্ত ৭০ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। হেটমায়ের করলেন ৪২ রান।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল করলেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি ও তরুণ অনুজ রাওয়ত। দুই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ পাওয়ার প্লেতে রান দিলেন। ওপেনিং জুটিতে ৫৫ রান উঠল। আরসিবিকে প্রথম ধাক্কা দিলেন স্পিনার যুজবেন্দ্র চহাল। ডুপ্লেসিকে ২৯ রানের মাথায় ফেরত পাঠালেন তিনি। অনুজকে ২৬ রানের মাথায় আউট করলেন নবদীপ সাইনি।
নবম ওভারে সব থেকে বড় ধাক্কা খায় আরসিবি। ডেভিড উইলির পায়ে লেগে বল একটু দূরে গেলে রান নেয়ার চেষ্টা করেন বিরাট কোহলি। কিন্তু তাকে ফেরত পাঠান উইলি। তিনি ক্রিজে ঢোকার আগেই সঞ্জুর থ্রো ধরে উইকেটে লাগিয়ে দেন চাহাল। পরের বলেই উইলিকে বোল্ড করেন তিনি।
পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে আরসিবিকে জেতানোর দায়িত্ব এসে পড়ে বাংলার শাহবাজ ও প্রাক্তন নাইট কার্তিকের কাঁধে। রবিচন্দ্রন আশ্বিনের এক ওভারে ২১ রান তুলে দলকে খেলায় রাখেন কার্তিক। তাকে সঙ্গ দিলেন শাহবাজ।
ফিনিশারের ভূমিকায় ফের এক বার দেখা গেল কার্তিককে। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বোলারদের সাথে ছেলেখেলা করলেন তিনি। মাঠের চার দিকে শট মারলেন। বড় শট খেললেন শাহবাজও। তিনি কেন আরসিবির প্রথম একাদশে নিয়মিত সুযোগ পান তা দেখালেন এই অলরাউন্ডার। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৪৫ রান করে আউট হন শাহবাজ। বাকি রান হর্যলের সাথে মিলে তুলে দেন কার্তিক। শেষ পর্যন্ত ২৩ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। একটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসারাঙ্গা, উইলি ও হার্সেল।
বিএনএনিউজ২৪.কম/এনএএম
Bnanews24 অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন