বিএনএ, সাভার : ঢাকার ধামরাইয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের গাড়ি ভেবে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের কালীঘাট এলাকায় এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী যুবলীগ নেতার নাম খায়রুল ইসলাম। তিনি বালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। এছাড়া তিনি ঢাকা জেলা পরিষদেরও সদস্য।
অভিযোগ উঠেছে বিএনপির ছাত্রদলের সাবেক নেতা বিপ্লবের নেতৃত্বে সোহরাব, আলতাফ, কাজলসহ ধামরাইয়ের কালীঘাট এলাকার আরো ৫০-৬০ জন মিলে এ ঘটনা ঘটায়।
জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বালিয়া ওদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ুয়া বালিয়া ইউনিয়নের বাস্তা ও বালিয়া গ্রামের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। এর জেরে বালিয়ার শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে বিচার চায়। তবে শিক্ষকরা এই বিচার দেন বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের কাছে। তবে তিনি এলাকায় না থাকায় জানান পরে আসবেন। একপর্যায়ে ওই এলাকার সংঘর্ষের কথা জানতে পারেন যুবলীগ নেতা খায়রুল ইসলাম। খবর পেয়ে তিনি ওই এলাকায় পৌঁছালে সেখানে থাকা যুবকরা ‘চেয়ারম্যান কই’ জানতে চেয়ে তার গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় ওই পথে থাকা এক ব্যক্তির মাটির ট্রাকও ভাংচুর করে তারা।
খায়রুল ইসলাম জানান, গত দু’দিনে দুইটি ঘটনায় বালিয়া ওদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে কিশোরদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। আজকেও এমন একটি ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যাবার পথে কালীঘাট এলাকায় পৌঁছালে সেখানে অবস্থানরত প্রায় ৫০-৬০ জন দুর্বৃত্ত ‘চেয়ারম্যান কই’ জানতে চেয়েই গাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে গাড়িটির পেছনের কাচ ভেঙ্গে যায় ও গাড়ির বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ধামরাই থানার কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক (আইসি) রাসেল মোল্লা বলেন, স্কুলের ছেলেপেলেদের মারামারির ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। সেখানেই একটি গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। তবে এখনো সেটি দেখিনি। এছাড়া কোনও অভিযোগও হয়নি।
বিএনএনিউজ/ইমরান খান/ এইচ.এম।