20 C
আবহাওয়া
১০:৫২ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দীনিয়া মাদ্রাসা সুশিক্ষিত আলেম তৈরিতে ভূমিকা রাখছে : বিএনএ সম্পাদক

দীনিয়া মাদ্রাসা সুশিক্ষিত আলেম তৈরিতে ভূমিকা রাখছে : বিএনএ সম্পাদক


বিএনএ, ফেনী : বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি(বিএনএ) ও নিউজ পোর্টাল বিএনএনিউজ২৪ ডটকম সম্পাদক মিজানুর রহমান মজুমদার বলেছেন, দীনিয়া মাদ্রাসা সুশিক্ষিত আলেম তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। শনিবার (৫ মার্চ) দুপুরে ছাগলনাইয়া পৌরসভার বাগানবাড়ীর খানকায়ে ছালেহিয়া মোহেব্বীয়া দীনিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজীর সম্মানে দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বিএনএ সম্পাদক আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সুশিক্ষিত হতে হবে। সুশিক্ষিত লোকের প্রয়োজন এই জন্যই যে আমাদের দেশের বেশিরভাগ লোকই প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত না হওয়ার কারণে কোন কাজই করতে পারে না। আমি যে কাজ করব ওই কাজের উপর আমার প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। আমি বিগত ১৫ বছর আগে থেকে বলে আসছি আমাদের দেশে সুশিক্ষিত আলেমের একটা বিরাট গ্যাপ তৈরি হবে, বড় ধরনের সঙ্কট তৈরি হবে কারণ ভালো আলেমরা আরবী শিক্ষিত ও শুদ্ধ কেরাত পড়ার আলেম। এখন খুব বেশি তৈরি হচ্ছে না। এক্ষেত্রে দীনিয়া মাদ্রাসা গুলো হক্কানী আলেম ও সুশিক্ষিত আলেম তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। দীনিয়া মাদ্রাসা ছাত্রদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল,কারন এদের কাজের অনেক ক্ষেত্র ও কর্মক্ষমতা অনেক তৈরি আছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সাব্বির আহমদ ছারছীনা পীর সাহেবের স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, ছারছীনার মরহুম পীর সাহেব মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ  সাহেব এরশাদ সাহেবের শাসনামলে যখন তিনি জমিয়াতুল মোদার্রেছীনকে ভেঙ্গে দিয়ে তখনকার একজন ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে সভাপতি করে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন গঠন করলেন। তখন আমাদের ৫১ জনকে নিয়ে এরশাদ সাহেবের বাসভবনে গেলেন তিনি। সেখানে তিনি রীতিমতো তাকে এই বিষয়ে ধমক দেন। সেখানে তার নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসলে এরশাদ সাহেব তাদের বারণ করে বলতে থাকেন ইনি আমার বাবার মতো।

আরেকটি ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, সদর ঘাটে ছারছীনা দরবার শরীফের খানকাহ ছিলো, তখন কাজী জাফর সাহেব প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মুফতি ওয়াক্কাস সাহেব ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। তখন তার কাছে গেলেন ছারছীনা পীর সাহেব হুজুর। মুফতি ওয়াক্কাস সাহেবকে হুজুর বলতে লাগলেন, এখন তো পতাকা লাগানো গাড়িতে ঘুরেন, এক সময় রিকশাও পাবেন না আলেমদের সাথে ফ্যাসাদ করার জন্যে, পরবর্তীতে এমনটাই ঘটেছিল সেই প্রতিমন্ত্রীর ভাগ্যে।

আল্লাহর ওলীদের দৃষ্টি অনেক প্রকট,তারা অনেক দূর দেখেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামিয়া আহমদিয়া মাদ্রাসায় ১৯৯১ সালে আমি প্রথম গিয়েছিলাম। মাওলানা জালাল উদ্দিন আল কাদেরী সাহেব ছিলেন তখন অত্র মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। সেখানেও একটি দরবার কেন্দ্রীক তারা মাদ্রাসাটিকে গড়ে তুলেছেন। তাদের সেই আক্বিদাহ, তাদের সেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের পতাকাকে প্রসারিত করতে তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, আমরা জমিয়াতুল মোদার্রেছীন যারা করি তারা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো দরবারের সাথে জড়িত আছি। ১৯৮৩,৮৪,৮৫ সালে তিনবার মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান সাহেবের সাথে হজ্বের সফরে সঙ্গি হওয়ার সুযোগ হয়েছিল। বাগদাদে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, আমাদের নেতা বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীনের নেতৃত্বে ও আমাদের ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের পৃষ্ঠপোষকতায় ও ফুলতলী পীর সাহেব হুজুরের সঙ্গে নির্দলীয়ভাবে আমরা আলেম সমাজ ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।

উক্ত কমপ্লেক্সের সভাপতি, পোর্টল্যান্ড গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, বাংলাদেশ নিউজ এ্যজেন্সির (বিএনএ) সম্পাদক, বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মজুমদারের সভাপতিত্বে ও কমপ্লেক্সের পরিচালক অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও মুদীর মাওলানা মুফতি মোঃ সাকিব মাহমুদ এর পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি স্ট্যাডি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসার ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ ছিদ্দিকী প্রমুখ।

বিএনএনিউজ/এবিএম নিজাম উদ্দিন/এইচ.এম।

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ