বিএনএ: বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করেছেন উল্লেখ করে মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার।
তিনি জানান, স্পেনে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যাওয়ার বিমান ভাড়া সংগ্রহ করতে না পারা, ছোট দুই ভাইকে টিউশনি করে পড়াশোনার খরচ জোগানোয় সংগ্রাম করতে হওয়াসহ নানা কারণে হতাশা থেকে তিনি (ফারদিন) আত্মহত্যা করেন বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাক্ষী হিসাবে মোট ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের আলামত না পাওয়ার কথা জানিয়ে এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে উঠবে ডিবির এই প্রতিবেদন।
এদিকে আত্মহত্যার কথা ‘আষাঢ়ে গল্প’ আখ্যায়িত করে আসা ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন রানা এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তিনি নারাজি দেবেন।
এছাড়া মামলায় আসামির তালিকায় থাকা বুশরাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদনও করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াসিন শিকদার।
নুরউদ্দিন রানার করা হত্যা মামলায় আসামির তালিকায় শুধু ফারদিনের বন্ধু আমাতুল্লাহ বুশরার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হয়ে বেশ কিছুদিন কারাগারে থাকার পর গত ১০ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান।
বুয়েটের পুরকৌশলের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিন (২৪) বিতার্কিক ছিলেন। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার ডেমরার কোনাপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন ফারদিন। বাবা-মার বড় ছেলে ফারদিন কোনাপাড়ায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
তিন দিন পর ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে ফারদিনের লাশ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসক হত্যার আলামত পাওয়ার কথা বলেছিলেন। এরপর ১০ নভেম্বর নূরউদ্দিন রানা হত্যামামলা করেন।
তবে শেষ পর্যন্ত লাশ উদ্ধারের ৪০ দিন পর গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর ডিবি ও র্যাব জানায়, নিখোঁজ হওয়ার রাতেই ফারদিন ডেমরার সুলতানা কামাল সেতু থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। সেই কথা জানানোর ৫২ দিন পর সোমবার আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করল ডিবি।
বিএনএনিউজ/এ আর