বিএনএ ডেস্ক: কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা দিন দিন বেড়েই চলছে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দুই উপজেলার খেটেখাওয়া মানুষ। এ ছাড়া শীতের কারণে বাড়ছে শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব। তবে এবার চাহিদার তুলনায় কম্বল বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এসব অঞ্চলের মানুষ খড়কুট জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার ৯ ইউনিয়নের ৩ শতাধিক গ্রামের ৭২ ওয়ার্ডে ৩ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। তাদের জন্য সরকারি বরাদ্দ এসেছে ইউনিয়নপ্রতি ৫০০ হিসাবে মোট ৪ হাজার ৫০০টি কম্বল, যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ শীতবস্ত্র কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে চেয়ারম্যানরা নিজ খরচে এনে তাদের মতো করে তালিকা প্রণয়ন করে বিতরণ করছেন।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার উপজেলার ফলুয়ারচরে কথা হয় বাসিন্দা নুর মোহাম্মদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অনেক আশা করে মেম্বার, চেয়ারম্যান, এমপিদের ভোট দিলাম কিন্তু তারা আমগো বিপদ-আপদে পাশে আসেন না। এই যে টেলকা বাতাস ও কনকনে শীতে মইরা গেলাম কেউ আমগো কম্বল দিল না।’
বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের বলেন, ‘এই ইউপিতে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ, এরমধ্যে ৫০০ কম্বল বরাদ্দ পেয়েছেন। কম্বলগুলো ইউপি সদস্যদের মাঝে বণ্টন করা হয়েছে।’
রৌমারী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ও মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেন বলেন, জনসংখ্যার চাহিদার তুলনায় এবারের বরাদ্দ অনেক কম।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেশকাতুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যেই রৌমারীতে ৪ হাজার ৫০০ এবং রাজিবপুরে ১ হাজার ৫০০ বরাদ্দের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরও কম্বলের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
রৌমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমান আলী বলেন, ৫ হাজার কম্বলের বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। বরাদ্দ পেলে বিতরণ করা হবে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ