বিএনএ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেও ঢাকায় শীত তেমন ছিল না। হাড়কাঁপানো শীতের খবর আসছিল উত্তরের জেলাগুলো থেকে। তবে গত দুই-তিন দিনের শীতের দাপট কাবু করে ফেলেছে রাজধানীবাসীকেও। বয়স্ক আর শিশুদের ভোগান্তি সবকিছুকে হার মানিয়েছে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
দেশের আট জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে আবহাওয়া অধিদফতরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, আগামী পাঁচ দিনে রাতের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
গতকাল সন্ধ্যায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ