বিনোদন ডেস্ক: বাংলা সিনেমার প্রথম নায়িকা সুমিতা দেবী। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়, কোলকাতার সড়কে বিক্ষোভ, বিদেশি মিশন অভিমুখী মিছিল, অবস্থান ধর্মঘটে, অগ্রভাগে থাকতেন যে শিল্পী, বিশ্ববাসীর দৃস্টি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে আনার লক্ষ্যে, তিনি সুমিতা দেবী। পাশাপাশি নিয়মিত ছুটে যেতেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এই ‘শব্দ সৈনিক’। বাংলা সিনোমার এই কিংবদন্তি নায়িকা সুমিতা দেবী ২০০৪ সালের ৬ জানুয়ারি পরলোক গমন করেন। আজ বৃহস্পতিবার(৬ জানুয়ারি )সুমিতা দেবীর ১৭তম প্রয়ান দিবস। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি তার মৃত্যু বার্ষিকীতে এক স্মরণসভার আয়োজন করেছে।
প্রায় ৫০টি চলচ্চিত্রের নায়িকা ছিলেন তিনি। এরপর বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্র ছাড়াও মঞ্চ ও টেলিভিশনে নিয়মিত অভিনয় করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করছিলেন। ‘আসিয়া’ ছবিটি ১৯৬০ সালে তদানীন্তন পাকিস্তান সরকারের “প্রেসিডেন্ট” পদক পায়। ওই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি নিগার পুরস্কার পান।

স্বাধীনতা পরবর্তীকালে এফডিসি প্রতিষ্ঠিত হলে প্রথম যে দুটো পূর্ণ দৈর্ঘ্য ছবির কাজ শুরু হয়েছিলো, তার নায়িকা ছিলেন সুমিতা দেবী। “আসিয়া” এবং ‘আকাশ আর মাটি”। তবে একটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল আরও ক’টি ছবির পর। সুমিতা দেবীর পারিবারিক নাম ছিল হেনা ভট্টাচার্য। ‘আসিয়া’ ছবির পরিচালক ফতেহ লোহানী তাঁর পর্দা নাম রাখেন সুমিতা দেবী। চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটার পরপরই তাঁর বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। পরে প্রখ্যাত পরিচালক জহির রায়হানের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এ সময় তার নাম রাখা হয়েছিল নিলুফার বেগম। যদিও তিনি আজীবন সুমিতা দেবী নামে খ্যাত ছিলেন।
সুমিতা দেবী ১৯৩৬সালের ২ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলায় ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।
বিএনএ নিউজ ২৪,আর আর খান,জিএন