বিএনএ, ঢাকা: শুরু হয়েছে বিজয়ের মাস। এই মাসে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ডিসেম্বর জুড়ে সারাদেশে জেলা, বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নানান কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিস্তারিত জানাতে মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।
একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে মাসব্যাপী বিজয় অনুষ্ঠানমালার বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
সারাদেশে একযোগে জাতীয় যন্ত্রসংগীত উৎসব, কাওয়ালি সন্ধ্যা, গণঅভ্যুত্থানের গান, বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান, নকশিকাঁথা তৈরি কর্মশালা, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে আলোকচিত্র প্রশিক্ষণ, সাপ্তাহিক বাহাস সিরিজ, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন, মহান বিজয় দিবস পালন, ভ্রাম্যমান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অংশগ্রহণমূলক অ্যাকশন রিসার্চ ও প্র্যাকটিস এজ রিসার্চ এর আলোকে জেলায় জেলায় শিল্পীদের জন্য গবেষণা বৃত্তি ঘোষণা ও প্রস্তাব আহবান, ৬৪ জেলায় জাতীয় নাট্যকর্মশালা, ভাওয়াইয়া গানের অনুষ্ঠান, প্রাচ্যনাট এর নাট্য প্রদর্শনী, লোকসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অপেরা এর নাট্যপ্রদর্শনী, নতুন ওয়েব জার্নাল প্রকাশসহ বিভিন্ন কার্য়ক্রম তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ সংস্কৃতি সংবাদ প্রচারে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শিল্পকলা একাডেমি নানামুখী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, বিদেশি কিছু মিডিয়া আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে। এখানে গণমাধ্যমের একটা বড় ভূমিকা আছে, আপনারা আমাদের পাশে দাঁড়ান। আামদের কাজগুলো যেন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে পারি।’
মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের কনজারভেটরি সেল করার পরিকল্পনা রয়েছে। ঢাকার বাইরে একটা বড় জায়গায় হাউজিং ব্যবস্থা থাকবে, যেখানে নিয়মিত সংস্কৃতি চর্চা হবে। দলগুলো সেখানে থাকবে, চর্চা করবে। নতুন প্রজন্মকে প্রশিক্ষিত করবে। দেশের বিভিন্ন জেলায় পারফরম্যান্সের কনজারভেটরি যদি আমরা তৈরি করতে পারি তাহলে এগুলো সবাই প্রশিক্ষিত হবে। এটা নিয়ে আমাদের বড় পরিকল্পনা রয়েছে।’
গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গবেষণাকে আমরা পারফরমেন্স এবং রিসার্চের জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। গবেষণা মানে এখন আমাদের কাছে ঘরের কোণে বসে অন্ধকারে দশটি বই নিয়ে কিছু লিখা নয়।
গবেষণা মানে পারফরমেন্স, নতুন একটা কিছু আবিষ্কার করা। এই রিসার্স এন্ড পারফরমেন্স কিন্তু ইউরোপ ও আমেরিকাতে চালু আছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালযেও চালু হয়েছে এ মাস থেকে আমরাও চালু করতে যাচ্ছি। অংশগ্রহণকারীদের রিসার্চ আছে এখানে, গবেষক গিয়ে নির্দিষ্ট একটি জায়গায় গবেষণা করবেন না। যারা ওইখানে থাকেন তাদের এবং সহকর্মীদের সাথে যুক্ত হয়ে গবেষণাগুলো পরিচালিত হবে। এ ধরনের বিভিন্ন কার্যক্রম যুক্ত হতে যাচ্ছে।’
পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মহাপরিচালক এবং বিভাগের পরিচালকবৃন্দ।
বিএনএনিউজ/ বিএম/এইচমুন্নী