কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে দেখেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েস।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েসসহ প্রতিনিধি দল উখিয়া ট্রানজিট পয়েন্টে পৌঁছেন। সেখানে তিনি গুলিতে নিহত রোহিঙ্গা শীর্ষ নেতা মাস্টার মুহিব উল্লাহর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন এবং আলাপ করেন।
এরপর প্রতিনিধি দলটি উখিয়ার বেশ কয়েকটি ক্যাম্প ঘুরে দেখেন। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাসসহ একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা তার সাথে ছিলেন। মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের জন্য পরিচালিত বিভিন্ন সংস্থার মানবিক কর্মকাণ্ডও পরিদর্শন করেন তারা।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মো. খালিদ হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালেসের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন করেছেন। এসময় প্রতিনিধি দল ক্যাম্পে লানিং সেন্টার, ফুডস ডিস্ট্রিবিউশনসহ প্রতিবন্ধীদের একটি সেন্টারে সেখানকার কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
উখিয়া ক্যাম্প-৪ এর হেড মাঝি সৈয়দ করিম বলেন, ‘মার্কিন প্রতিনিধি দল তার শিবিরসহ কয়েকটি ক্যাম্প ঘুরে দেখেছেন। এ সময় রোহিঙ্গাদের খোঁজ খবর নেয় তারা।
গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েস কক্সবাজার ও ভাসানচরের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশ আসছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বাংলাদেশ সফরকালে মিয়ানমারে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যায়ের বিষয়টি বিবেচনা করে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে উদারতার পরিচয় দেয়ায় নয়েস সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করে ধন্যবাদ জানাবেন।
৭ ডিসেম্বর মার্কিন সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাইল্যান্ডের উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।
জুলিয়েটা ভ্যালস নয়েস ২০২২ সালে ৩১ মার্চ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি ফরেন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের ডেপুটি ডিরেক্টর ও অ্যাক্টিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিএনএ,এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন, জিএন