বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ দুর্বল হয়ে এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন (৩) নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। শনিবার রাতে আবহাওয়ার ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দিঘা, মন্দারমণিসহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল এলাকায় শনিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকাগুলিতে দমকা হাওয়ার তেজ বাড়ছে। ঘন কালো মেঘ আরও ঘনীভূত হয়ে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্রও। রোববার দুপুর বা বিকেলের দিকে ওডিশ্যার উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের।
ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার রাত ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
গভীর নিম্নচাপটির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ০২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ