ঢাকা: ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেছেন, ভূমি রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় ও মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের তত্ত্বাবধান কার্যক্রম সমন্বিত উপায়ে জোরদার করতে হবে। এতে করে জাতীয় অর্থনীতির বিকাশে অবদান রাখা সম্ভব হবে। তিনি ভূমি মালিকদের ভূমি সেবা বিষয়ে ব্যাপক সচেতনা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পরামর্শ দেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভূমি ভবনের সম্মেলন কক্ষে ভূমি সংস্কার বোর্ড আয়োজিত ভূমি রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য করণীয় নির্ধারক বিষয়ক এক কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমি সচিব এসব কথা বলেন।
বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডলের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহ. মুনিরুজ্জামান।
ভূমি সিনিয়র সচিব বলেন, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে ভূমি রেকর্ড হালনাগাদ থাকতে হবে। সরকারি জমি অব্যবহৃত থাকলে তা থেকে রাজস্ব আদায় করার উদ্যোগ নেয়া দরকার। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন করে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া সম্ভব।
কর্মশালায় জানানো হয়, জমি, জলাশয় ও অন্যান্য ভূমির মালিকানা ও ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে ভূমি রাজস্ব আদায় করা হয়। এ কার্যক্রম সাধারণত বিভিন্ন ফি, কর ও চার্জের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়। ভূমি রাজস্বের উৎস বা খাত হচ্ছে ভূমি উন্নয়ন কর, নামজারি ফি, সায়রাত মহাল ও অর্পিত সম্পত্তি লিজ ফি, হাটবাজার লিজ ফি এর ভূমি রাজস্ব অংশ ও অন্যান্য ফি।
বিএনএ, এসজিএন