বিএনএ, ঢাকা: রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিবছর ৮ নভেম্বরকে ‘গণপ্রকৌশল দিবস’ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন ডিপ্লোমা প্রকৌশল নেতারা। তারা জানান, বিগত কয়েকবছর থেকে এ দাবি জানালেও সরকার পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তবে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এ উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলন সংগঠন নেতারা এ বিষয়ে জানান।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদ।
সভাপতি বলেন, কারিগরি শিক্ষাকে জনপ্রিয় করতে হলে গণপ্রকৌশল দিসব ঘোষণার বিকল্প নেই । উন্নত দেশ গড়তে হলে কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো দক্ষ জনবল গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই দক্ষ জাতি গড়ার কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে মোট শিক্ষার্থীর ৫০ শতাংশ কারিগরিতে পড়াশোনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো বাস্তবায়ন হলে আমরা উন্নত দেশের কাতারে থাকতাম। অথচ আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে তীব্র শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ল্যাব সংকটের কারণে কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষায় আমরা আরো পিছিয়ে পড়ছি।
লিখিত বক্তব্যে শামসুর রহমান বলেন, জনসংখ্যার বয়স বিবেচনায় বাংলাদেশের জন্য গোল্ডেন ইয়ার হবে ২০৩০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত। ষাট ও নব্বইয়ের দশকে হংকং, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ান এই সুবিধার সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে বিস্ময়কর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করতে পেরেছে। অথচ দক্ষতা না থাকায় দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ৮ লাখ বা ১২ শতাংশ। এই সংকট নিরসনে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তার বিকাশ ঘটাতে হবে। সেজন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গণিত শিক্ষায় গুরুত্বারোপ করে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে হবে।
বিএনএনিউজ/বিএম