বিএনএ, চট্টগ্রাম : শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ছুটির দিনে সকালে যাদের ঘর থেকে বের হওয়ার প্রয়োজন হয়েছে তাদের পড়তে হয়েছে চরম দুর্ভোগে। রাস্তায় গণপরিবহন নেই। রিকসা, সিএনজি টেক্সী, মোটরসাইকেল চলাচল করলেও সেগুলোতে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। অনেককে হাঁটা পথেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে দেখা গেছে।
জ্বালানি তেলের দাম ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে এ ধর্মঘট । পরিবহন মালিক শ্রমিকরা। বাড়তি দাম প্রত্যাহার কিংবা ভাড়া সমন্বয় না হওয়া পর্যন্ত শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট চলবে বলে তারা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মো. মুছা বলেন, গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। ডিজেলের দাম বাড়ানোর কারণে পরিবহন ভাড়া বাড়বে। যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ুক-এটা আমরা চাই না।
মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন জানান, গাড়ি চালানোর পরিবেশ নেই। যার যার গাড়ি বন্ধ রাখবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে সব ধরণের গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার মানুষ প্রাইভেটকার, টেম্পু, সিএনজি অটোরিকশায় যাতায়াত করছেন। যাতায়াতে তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
নগরের বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, জিইসি, নিউ মার্কেট, টাইগার পাস, আগ্রাবাদ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে রাস্তাঘাটে গণ পরিবহন নেই। গন্তব্যে যাওয়ার জন্য অনেকে দাঁড়িয়ে আছেন দীর্ঘ সময় ধরে।
এমন ধর্মঘটে ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করছেন সাধারন জনগণ। তেমনই একজন আবসার আহমেদ, বেসরকারি এক অফিসে চাকরি করেন। শুক্রবারও তার অফিস করতে হয়। আগ্রাবাদে অফিসে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়েছেন। গাড়ি না পেয়ে বললেন, এভাবে মানুষকে কষ্ট দেয়ার কোন মানে হয় না। এক লাফে ডিজেলের দাম এত বাড়াতে হবে কেন?
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।