লাইফস্টাইল ডেস্ক: কথায় আছে, বিপদ কখনো বলে-কয়ে আসে না। তেমনই বাড়িতে আগুন লাগার মতো ঘটনাও হঠাৎই হতে পারে। বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ তো বর্তমানে অধিকাংশ বাসায় রয়েছে। কিছু বাসায় আবার রয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার। এসব থেকেই আগুন লাগার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এর জন্য় সব সময় সাবধান থাকতে হয়।
সাবধানতা ও সতর্কতা আপনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা থেকে রক্ষা করবে। মুহূর্তেই অগ্নিকাণ্ডে শিকার হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে কয়েকটি অভ্যাসের আয়ত্ত করতে হবে।
১. চুলা জ্বালিয়ে রান্নাঘর ছেড়ে যাবেন না। রান্না করার সময় সামনে দাঁড়িয়ে থাকুন। রান্না শেষে চুলা বন্ধ করে, সম্ভব হলে গ্যাসের চাবিটি বন্ধ করে রাখুন।
২. ঘরে বিশ্রাম নিতে হলে চুলা বন্ধ কি না, তা চেক করুন। ফ্যান ছেড়ে একটু ঠান্ডা হতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। ওই দিকে চুলা জ্বালানো থাকলে যেকোনো বিপদ হতে পারে। সেখান থেকে সহজেই আগুন লাগতেই পারে।
৩. চুলা জ্বালানোর সময় গ্যাসও বাড়িয়ে দেবেন না। এতে আগুন দাউদাউ করে জ্বলে উঠতে পারে। আপনি চুলার পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও বিপদ হতে পারে।
৪. চুলায় রান্না করার সময় আঁচ বাড়িয়ে দেবেন না। আগুন বাড়িয়ে দিলে রান্নার পাত্র থেকে ধোঁয়া ওঠে বা তেলে আগুন লেগে যেতে পারে। এটা থেকে আগুন ছড়িয়েও পড়তে পারে।
৫. রান্নার সময়ে বড় একটা ঢাকনা পাশে রাখুন। প্যানে আগুন ধরলে তা চাপা দিয়ে বন্ধ করে দিন। লবণ বা বেকিং সোডা ব্যবহার করতে হবে। আগুন নিভে যাবে।
৬. রান্না করার সময়ে চুলার আশপাশে তেল পড়তেই পারে। রান্না শেষে এসব তেল ও ময়লা পরিষ্কার করে রাখুন। নয়তো এই তেলে আগুন লেগে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
৭. বাড়ির বারান্দা বা ছাদে কিংবা ঘরে বসেই অনেকে সিগারেট খান। সিগারেট খেয়ে পুরোপুরি তা নিভিয়ে নিন। পুরোপুরি না নেভানো হলে আগুন লাগার সম্ভাবনা থেকে যায়। সম্ভব হলে বাড়ির বাইরে গিয়ে ধূমপান করুন।
৮. মাঝে মাঝেই বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যায়। অনেকে এখনো বাড়িতে মোমবাতি ব্যবহার করেন। এই মোমবাতি কিন্তু অনিরাপদ। এটি থেকে দ্রুত আগুন ছড়াতে পারে। মোমদানিতে থাকলে তা উল্টে ফার্নিচার বা কাপড়ে আগুন লেগে যেতে পারে।
৯. ছেঁড়া বা এলোমেলো বিদ্যুতের তার থেকেও আগুন লেগে যেতে পারে। সেগুলো দ্রুত মেরামত করে নিন। মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার করাটাও কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ। সরাসরি দেয়ালের আউটলেটে প্লাগ লাগিয়ে কাজ করুন। বাড়ির বাইরে গেলে মাল্টিপ্লাগের সংযোগটি খুলে রাখুন।
১০. বাড়ি নির্মাণের সময় ফায়ার এক্সটিংগুইশার রাখার ব্যবস্থা করুন। এটি অত্যন্ত জরুরি। ছোট একটি ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকলে অনাকাঙ্ক্ষিত অগ্নিকাণ্ড সহজে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ