বিএনএ ডেস্ক : সিকিমে ব্যাপক বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় এ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর ২২ জন সদস্য সহ ৮২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সেনাবাহিনীর ২৩ জন ভেসে গেলেও একজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে।এ বন্যায় এ পর্যন্ত ১০ জন নিহত হয়েছে।
এ দিকে সিকিমে এখনও বৃষ্টি হচ্ছে । এর সঙ্গে তিস্তার ওপরে তৈরি একাধিক বাঁধ থেকে পানি ছাড়া হয়েছে। সেই পানি সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
দেশের গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে।বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি ৯০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রবল বেগে উজান থেকে বিপুল পরিমাণে পানি তিস্তা নদী দিয়ে দ্রুত বাংলাদেশে নেমে আসছে। এতে গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের এলাকাসমূহ প্লাবিত হতে পারে।
সেইসঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, ভারতের সিকিমের একটি বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে প্রবল বেগে উজান থেকে বিপুল পরিমাণে পানি তিস্তা নদী দিয়ে দ্রুত নেমে আসছে। সম্ভাব্য বন্যার হাত থেকে তিস্তা নদী বেষ্টিত ৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদে থাকতে মাইকিং করা হচ্ছে।
বিএনএ/ ওজি