29 C
আবহাওয়া
১২:৫০ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সিনহা হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

সিনহা হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

সিনহা হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

বিএনএ কক্সবাজার: সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। রোববার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাঈলের আদালতে মামলার ৩নম্বর সাক্ষী দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামরার ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করানো হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে আগামি ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

এর আগে ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিনদিন মামলার ১নম্বর সাক্ষী ও বাদি শারমিন সাহরিয়া ফেরদৌস ও ২নম্বর সাক্ষী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে আদালত। নির্ধারিত এ তিনদিন পর সাক্ষগ্রহণ মুলতবি করে ৫, ৬, ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন বিচারক।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, গত ২৩  মেজর সিনহা হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম আগস্ট শুরু হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম তিনদিনের প্রথম দিন ও দ্বিতীয় দিনের অর্ধেক সময় মামলার বাদী নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসের সাক্ষ্য ও জেরা নেয়া হয়। পরে শুরু হয় সিনহার সফরসঙ্গী ও হত্যার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী সিফাতের সাক্ষ্য গ্রহণ। এ দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করতেই প্রথম নির্ধারিত তিন দিন শেষ হওয়ায় বাকি ১৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া সম্ভব হয়নি। গত ২৫ আগস্ট ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চারদিন পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে আদালত। এ মামলায় মোট  ৮৩ জন সাক্ষী। রাষ্ট্রপক্ষ চার দিনে অন্তত আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণের চেষ্টা করবে  বলে জানান তিনি।

এদিকে, প্রথম দুই সাক্ষীর জবানবন্দিতে সিনহা হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন সাক্ষ্য গ্রহণে অংশ নেয়া আইনজীবীরা।

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর পরই তিনটি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায় ও একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর  ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ