বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণ কাজ চলতি আগস্টের মধ্যেই শেষ হবে। প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী জানান, টানেলের নির্মাণ কাজ ৯৮ শতাংশ শেষ। টানেলে বড় আর কোনো কাজ নেই। দুটি টিউবই প্রস্তুত।
এদিকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন করবেন এবং এটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রকল্প অনুসারে, টানেলটি চট্টগ্রাম শহরকে ‘ওয়ান সিটি উইথ টু টাউনস’-এ পরিণত করবে।
মাল্টিলেন টানেলটি সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরকে আনোয়ারা উপজেলা হয়ে সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রামকে সংযুক্ত করেছে।
টানেলটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত করবে এবং দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে। এই টানেলে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে যানবাহন চলবে।
১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু টানেল। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে টানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্পের বিবরণে বলা হয়েছে, ১১ মিটার ব্যবধানে দুটি টিউব নির্মাণ করা হয়েছে যাতে ভারী যানবাহন সহজে টানেলের মধ্য দিয়ে যেতে পারে।
টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪০ কিলোমিটার। ৫.৩৫ কিলোমিটারের একটি অ্যাপ্রোচ রোডসহ ৭৪০ মিটার একটি সেতু মূল বন্দর নগরী এবং নদীর পশ্চিম প্রান্তকে সংযুক্ত করেছে।
প্রকল্পের অংশ হিসেবে প্রধান বন্দর নগরী ও কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম পাশকে নদীর পূর্ব দিকে এবং আনোয়ারা উপজেলার সাথে যুক্ত করে মোট ৭৪০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম টানেল টিউবের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।
শুক্রবার প্রকল্প পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, ‘এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে। তিনি বলেন, শ্রমিক ও প্রকৌশলীরা বহুল প্রতীক্ষিত টানেলটি সেপ্টেম্বরে উদ্বোধনের জন্য দিনরাত কাজ করছেন।
তিনি জানান, ‘ইতিমধ্যে টানেলের ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি দুই শতাংশ কাজ শিগগিরই শেষ হবে। প্রকল্পের মেয়াদ ৩০ ডিসেম্বর শেষ হবে।’
বিএনএ, এসজিএন/ হাসনাহেনা
