18 C
আবহাওয়া
৮:৩১ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ভূমিধস জয়ের পথে লেবার পার্টি

ভূমিধস জয়ের পথে লেবার পার্টি

landslaid

বিশ্ব ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে বুথফেরত জরিপ অনুযায়ী লেবার পার্টি ৪১০টি আসনে জয় নিয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে এবং এই পূর্বাভাস সত্যি হলে স্যার কিয়ের স্টারমার হবেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী। এই জরিপ অনুযায়ী লেবার পার্টি ১৭০ আসনের বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ভূমিধ্বস জয় পাবে আর কনজারভেটিভ পার্টি ইতিহাসের সবচেয়ে কম ১৩১ টি আসনে জয় পেতে যাচ্ছে। খবর-বিবিসি

এছাড়া লিবারেল ডেমোক্র্যাটসরা ৬১টি আসন পেয়ে তৃতীয় স্থানে থাকতে পারে। এর বাইরে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির আসন কমে দশে আর রিফর্ম ইউকে পেতে পারে তেরটি আসন।

স্যার জন কারটিস এবং একদল পরিসংখ্যানবিদের তত্ত্বাবধানে করা এই বুথ ফেরত জরিপের জন্য ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের ১৩০টি ভোট কেন্দ্রের ভোটারদের কাছ থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে। উত্তর আয়ারল্যান্ড এই জরিপের আওতায় আসেনি।

গত পাঁচটি সাধারণ নির্বাচনে বুথ ফেরত জরিপের সত্যাসত্য ছিলো ১ দশমিক ৫ থেকে সাড় সাত শতাংশ আসনের মধ্যে।

এই জরিপ সত্যি হলে এটা হবে লেবার পার্টির জন্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো। দলটি যুদ্ধ-উত্তর সময়ে ২০১৯ সালে সবচেয়ে বাজে ফল করেছিলো। তখন আশি আসন বেশি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিলো বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি।

তবে কিছু জনমত জরিপে কনজারভেটিভ পার্টির ভেসে যাওয়ার যে সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিলো সেটি সম্ভবত দলটি এড়াতে পারবে। কিন্তু তারপরেও এটিই হবে দলের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে নির্বাচনী ফল। চৌদ্দ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২৪১ আসন হারিয়ে তারা এখন বড় ধরণের বিপর্যয়ের মুখে।

এর ফলে ২০১০ সালের পর আবারো ডাউনিং স্ট্রীটে একজন লেবার প্রধানমন্ত্রী আসছেন। অন্যদিকে কনজারভেটিভদের মধ্যে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে লড়াই হবে কারণ মনে হচ্ছে ঋষি সুনাক নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন।

কনজারভেটিভ অর্থাৎ টোরিরা লিবারেল ডেমোক্র্যাট ও নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকে পার্টির দিক থেকেও চ্যালেঞ্জের মুখে আছে কারণ এই দল দুটি আগের চেয়ে বেশী আসন পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

টোরি থেকে রিফর্ম ইউকে পার্টিতে যাওয়া লি অ্যান্ডারসন তার নতুন দলের হয়ে প্রথমবারের মতো অ্যাশফিল্ড আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ওই আসনে দ্বিতীয় আসনে আছে লেবার পার্টির প্রার্থী।

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল স্যার রবার্ট বাকল্যান্ড হলে এবার প্রথম টোরি এমপি যিনি তার নিজের আসনে পরাজিত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, তার দল নির্বাচনী বিপর্যয়ের মুখে এবং লেবারদের সম্ভাব্য জয় হলো ‘পরিবর্তনের জন্য বড় ভোট’।

তিনি নির্বাচনী প্রচারণা অপেশাদারিত্ব ও বিশৃঙ্খল আচরণের অভিযোগ তুলে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যানসহ তার দলের কয়েকজন সহকর্মীর তীব্র সমালোচনা করেছেন।

লেবার পার্টির এবার ভূমিধস বিজয়ের যেই সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে তাতে ১৯৯৭ সালের টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বে পাওয়া আসনের চেয়ে অল্প কিছু কম হতে পারে।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ