33 C
আবহাওয়া
৭:১৩ অপরাহ্ণ - মে ৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » নির্বাচনের ইতিহাসে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন দৃষ্টান্ত: প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনের ইতিহাসে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন দৃষ্টান্ত: প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনের ইতিহাসে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন দৃষ্টান্ত: প্রধানমন্ত্রী

বিএনএ ডেস্ক: উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যদিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে মানুষ কেবল স্বতস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকারই প্রয়োগ করেনি নির্বাচনটাও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল। মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছে। দেশে নির্বাচনের ইতিহাসে এটা একটা দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কুসিক-এর নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গণভবণ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। জনসাধারণ যাতে তাদের ভোটাধিকার যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য তার সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছে। কারণ গণতান্ত্রিক পরিবেশের মধ্যেই দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিহিত।

শেখ হাসিনা মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রাখতে এবং তাদের প্রতি যথাযথভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করার জন্য কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটা চাই জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনগণের প্রতি আপনার যে কর্তব্য ও দায়িত্ব রয়েছে তা আপনারা যথাযথভাবে পালন করবেন, যাতে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস আপনাদের উপর থাকে।

তিনি বলেন, যে বিশ্বাস নিয়ে আপনাকে ভোট দিয়েছে সেই বিশ্বাসে যেন কখনো চিড় না ধরে, সেই বিশ্বাস যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেই বিশ্বাসকে ধরে রেখে আরও বিশ্বাস যাতে অর্জন করতে পারেন সেদিকে আপনারা বিশেষভাবে দৃষ্টি দেবেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিজয়ী প্রার্থী আরফানুল হত রিফাতকে ভার্চুয়ালি শপথ বাক্য পাঠ করান। অন্যদিকে, সংরক্ষিত আসনের নয় জন নারীসহ ৩৬ জন নির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথ বাক্য পাঠ করান এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান যুগ মূলত প্রযুক্তিনির্ভর এবং বেশিরভাগ দেশই তাদের নির্বাচনে প্রযুক্তি ও নির্বাচনী ভোটিং মেশিন ব্যবহার করছে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে জনগণ যেন তাদের ভোটের অধিকারটা উপভোগ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে যা যা করার আওয়ামী লীগ সরকার করে যাচ্ছে। কেননা, আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকেই মানুষের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করেছে এবং দলটির প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।

তিনি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রতিস্থাপন, ছবিসহ নির্বাচনী ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং ভোটার তালিকা থেকে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটারকে বাদ দিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ ও যুগোপযোগীকরণে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় মহাজোটের অবদানের কথা স্মরণ করেন। ‘৭৫ পরবর্তী সময়ের সামরিক সরকারের অধীনে এদেশে সংঘটিত নির্বাচনের নামে প্রহসন এবং জিয়াউর রহমানের বিতর্কিত, ‘হ্যাঁ’ ‘না’ ভোট, রাষ্ট্রপতি ও সংসদ নির্বাচনসহ খালেদা জিয়ার ২০০৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে যার সুফল দেশের মানুষ পাচ্ছে জানিয়ে বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রায় ৯০ ভাগ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হয় বলেও জানান সরকার প্রধান।

‘ঋণ করে ঘি খাওয়ার পলিসি’তে তার সরকার বিশ্বাসী নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে তিনি এমনও দেখেছেন নিজের দেশের অর্থ অন্যের হাতে তুলে দিয়ে সেখান থেকে আবার কমিশন খেয়ে অর্থ নিয়ে আসছে। কিন্তু, এই টাকা তো জনগণের টাকা।

দেশে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের আগে মানুষ কীভাবে তার সুফল পাবে সেটা বিবেচনায় রাখা হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ইতোপূর্বে তার সরকার কুমিল্লার টেকসই উন্নয়নে ১ হাজার ৫শ’ ৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। যদিও সে সময় কুমিল্লার মেয়র অন্য দলের ছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করি। আমরা চাই, বাংলাদেশ সব সময় এই অসাম্প্রদায়িক চেতনায়ই গড়ে উঠবে। সকল ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকবে, সেটা আমাদের পবিত্র কোরআন শরীফেও দেওয়া আছে। সেটা হলো, কেউ কারো ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত দেবে না বা ধর্ম পালনে বাধা-নিষেধ দেবে না।

বাংলাদেশ সেই চেতনায়ই বিশ্বাস করে এবং সেই চেতনা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বিএনএ/ এ আর

Loading


শিরোনাম বিএনএ